আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভূমিকম্পের জেরে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে৷ তাদের আশঙ্কাকে সত্যি করেই তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেল। আহতের সংখ্যা প্রায় ৭২ হাজার। মৃত্যুপুরীতে নতুন বিপদের নাম ভয়ংকর শীত। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই মানুষের। এইসঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষগুলির কাছে খাবার, জল কিছুই পৌঁছচ্ছে না। এই অবস্থায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই সিরিয়ায় আসছেন হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রিয়াসুস।
অন্যদিকে, এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। তবে ধ্বংসস্তূপ থেকে যাঁদের বের করে আনা হচ্ছে তাঁদের প্রায় সকলেই মৃত। বাড়তে থাকা মৃতের সংখ্যার পাশাপাশি প্রবল শৈত্য ও খিদের জ্বালায় জ্বলছেন ভূমিকম্পে গৃহহারা মানুষেরা। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত তুরস্কে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১ হাজার ৫১-তে। এর মধ্যে সিরিয়াতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৭ জন। বাকিরা তুরস্কে। আহতের সংখ্যা ৭২ হাজার ৮৭৯। তুরস্ক ও সিরিয়ার মানুষের অভিযোগ, উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বণ্টন ঠিকভাবে হচ্ছে না। আসলে ভূমিকম্পের অভিঘাতে সড়কপথ কার্যতই বিপর্যস্ত। তার উপর চলছে শৈত্য প্রবাহ। এই পরিস্থিতিতে কাজ করতে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, ভূমিকম্পে বাঁচলেও শীত আর খিদে জ্বালায় মরতে হবে তাঁদের। কোথাও কোথাও খাবার জলটুকু মিলছে না। বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে প্রেসিডেন্ট তায়িপ এর্দোয়ানকে হতাশার সুরে বলতে দেখা গিয়েছে, সব জায়গায় পৌঁছাতে পারছে না উদ্ধারকারী দল।