এ যেন মগের মুলুক! ‘আচ্ছে দিনে’ দেশবাসীকে দেশের লক্ষ লক্ষ অসুস্থ মানুষকে মেয়াদ পেরোনো এবং নিম্নমানের ওষুধ খাইয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিল মোদী সরকার! খোদ কেন্দ্রের অধীনস্থ ক্যাগ অর্থাৎ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টেই উঠে এল এই ভয়ঙ্কর তথ্য। ক্যাগ জানাচ্ছে, মোদী আমলে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রকল্পে ৫২ হাজার ৫৭৭ পরিবারকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশের নানান শহরে কেন্দ্র অধীনস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অত্যন্ত নিম্নমানের ওষুধ বিলি করা হয়েছে। কলকাতাতেই প্রায় তিন লক্ষ মানুষ এমন ওষুধ পেয়েছেন। ওষুধের নামে বিষপান করেছেন তারা, এমনই অভিযোগ উঠছে।
সিজিএইচস সংক্রান্ত ক্যাগের রিপোর্টে এহেন চাঞ্চল্যকর তথ্যই প্রকাশ্যে এসেছে। মোদী সরকারের প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং পেনশনাররা বিনামূল্যে ওষুধ পান। ক্যাগ দাবি করছে, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সিজিএইচএসের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ৫২,৫৭৭ পরিবারকে মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া ওষুধ দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেয়াদ পেরোনো সামান্য ক’দিন আগেই ওষুধ পেয়েছেন অনেকে। ক্যাগের রিপোর্ট বলছে, সব মিলিয়ে ২ কোটি ৫৭ লক্ষ ২৬ হাজার ৭১ টাকা দামের মেয়াদ পেরোনো ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র সরকারি কর্মী এবং পেনশনাভোগীরা বিনামূল্যে যে ওষুধ পান, তা গবেষণাগারে পাঠিয়েছিল ক্যাগ। তারপরই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে, গোটা ঘটনাটি জানা যায়। পাঁচ বছরে কলকাতায় ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯১৮ জনকে অত্যন্ত নিম্নমানের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। মুম্বইতে ভক্তভুগীর সংখ্যা সর্বাধিক, সেখানে ১১ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৬১ জন মানুষ মেয়াদ পেরোনো ওষুধ পেয়েছেন। উল্টোদিকে, সিজিএইচএসের করেন করছে, ওষুধের মেয়াদ লেখার সময় নাকি টাইপোগ্রাফিক্যাল ভুল হয়েছে। যদি এই দাবি নসাৎ করেছে ক্যাগ। তাদের দাবি, গোটা দেশে মাত্র ১৭টি কেসে ছাপা সংক্রান্ত ভুল পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবিও জানিয়েছে ক্যাগ।