এবারে সংসদের বাজেট অধিবেশন জুড়ে চর্চা শুধুই আদানির শেয়ার পতন ও তার জেরে মধ্যবিত্তের সমস্যা নিয়ে। রোজই বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভ, হই-হট্টগোলে মুলতুবি হয়ে যাচ্ছে সংসদ। তবে এরই মধ্যে নজর কাড়লেন আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরের সঙ্গে তাঁকে মিষ্টিমধুর বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের আলোচনায় বক্তব্য রাখতে ওঠেন আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা। সেখানে তিনি এক রাজা ও তাঁর পোষা তোতাপাখি নিয়ে গল্প বলেন। শুরুতেই তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে দুর্নীতির উল্লেখ ছিল। আমি ভেবেছিলাম এই ইস্যু নিয়ে কথা বলব না। কিন্তু তারপরই আমি আপনাকে (জগদীপ ধনকর) দেখলাম এবং সঙ্গে সঙ্গে একটা গল্প মনে পড়ে গেল’।
এরপরই তাঁকে থামিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্য়ান জগদীপ ধনকর হাসিমুখেই জিজ্ঞাসা করেন, তাঁকে দেখেই কেন দুর্নীতির কথা মনে পড়ল? আরজেডি সাংসদও সঙ্গে সঙ্গে সাফাই দিয়ে বলেন, ‘না, না আপনাকে দেখে দুর্নীতির কথা নয়, রাজার কথা মনে পড়ল’। উপরাষ্ট্রপতি ধনকর বলেন, ‘সেটা তো স্পষ্টভাবে বলতে হবে। নাহলে বাকিরা তো বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন’।
এরপরে রাজা ও তোতাপাখির গল্প শোনাতে গিয়ে আরজেডি সাংসদ বলেন, ‘একজন রাজার তোতাপাখি পোষার খুব শখ ছিল। তিনি হঠাৎ একটি তোতাপাখিকে পছন্দ করতে শুরু করেন। প্রত্য়েক তোতাপাখিকে স্টিল বা রুপোর বাটিতে খেতে দেওয়া হত, কিন্তু রাজার পছন্দের ওই তোতাপাখিকে সোনার বাটিতে খেতে দেওয়া হত। রাজা ওই তোতার কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন। একদিন প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ওই তোতাপাখির সম্পর্কে কিছু খবর আসে। এরপরই তোতাপাখিটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপরে রাজাও খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন। এই তোতাপাখিরই একটি ভাই ছিল, যার বিনয়ী স্বভাব ছিল। একটা কোম্পানি ছিল ফুল নামে আর একটা ‘হ্যাঁ ব্যাঙ্ক’ ছিল। এই ভাই ৪৮ হাজার কোটি টাকা ‘হ্যাঁ ব্যাঙ্কে’ দিয়ে দেয় এবং কেম্যান দ্বীপে ১৩০৩ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। এটা প্রাচীনকালে গল্প। এখনও রাজা ও তোতাপাখির গল্প শেষ হয়নি। পিকচার আভি বাকি হ্যায়…’।