ফের বিতর্কের কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অতিসম্প্রতিই লোকসভায় দীর্ঘ ভাষণে গৌতম আদানিকে জড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গে না ঢুকে ‘সব মিথ্যা’ বলেই দায় সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তাঁর আগেই আদানি-মোদী সম্পর্ক নিয়ে রাহুল গান্ধীর তোলা অভিযোগ লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেন স্পিকার ওম বিড়লা। ফলে সরকারিভাবে বলা যাবে না, প্রধানমন্ত্রী সংসদে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তুঙ্গে শোরগোল। পাশাপাশি, আজ রাজ্যসভাতেও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের উপর আলোচনা শেষে আজ রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের। মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে বলা বক্তব্য সভার কার্যবিবকরণী থেকে ছেঁটে দিয়েছেন চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর।
অবিলম্বেই চেয়ারম্যানের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সরব হন খাড়গে। গলা মেলান কংগ্রেসের বাকি সদস্যরাও। খাড়গে চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বলেন, “আপনি কথাগুলি বাদ দেওয়ার আগে আমাকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিতে পারতেন। আমি এমন কিছু বলিনি যা অসংসদীয়।” বুধবার লোকসভায় স্পিকার ওম বিড়লা নির্দেশ দেন, প্রধানমন্ত্রী ও আদানির সম্পর্ক নিয়ে রাহুল গান্ধী সভায় যা বলেছেন সেগুলি কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিতে হবে। কিন্তু রাহুলের বক্তব্য, সংসদ টিভিতে অনেকেই লাইভ শুনেছেন। লোকসভা সচিবালয়ের বক্তব্য, সংসদ টিভিতেও ওই অংশটুকু বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। নতুন করে আর ওই অংশ প্রদর্শন করা যাবে না। রাহুল গান্ধীর আদানি-মোদী বক্তব্য সংবাদমাধ্যমও আর ব্যবহার করতে পারবে না। যা নিয়েই জমাট বেঁধেছে বিতর্ক।