আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভূমিকম্পের জেরে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে৷ হচ্ছেও তাই৷ ইতিমধ্যেই দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে৷ এরই মধ্যে ওভগান আহমেত এরকান নামে একজন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ইকোনমিস্ট’-কে জানিয়েছেন, এখনও ধ্বংস্তূপের নীচে ১ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষের চাপা পড়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷ যাঁদের মধ্যে অধিকাংশেরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ৷ ফলে হতাহতের সংখ্যা কোথায় পৌঁছতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়৷ ভূমিকম্পের জেরে শুধুমাত্র তুরস্কেই মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার ছুঁয়েছে৷ রয়টার্সের সাংবাদিক হিউমেরা পামুক ড্রোন থেকে তোলা ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের হাতায় শহরের একটি ভিডিও ট্যুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘শতাব্দীর সবথেকে ভয়াবহ বিপর্যয়ে সাড়ে চারশো কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রায় ১.৩০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত৷’ অন্যদিকে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৯৩২৷
তুরস্কে উদ্ধারকাজের এখনও অনেকটাই বাকি৷ রাস্তার ওপরেই সার দিয়ে মৃতদেহ পড়ে থাকার ছবিও দেখা গিয়েছে৷ কারণ মৃতদেহ সরানোর থেকেও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কেউ বেঁচে আছেন কি না, তার খুঁজে দেখার ওপরেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে৷ তুরস্কে তবু বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে৷ তার থেকেও খারাপ অবস্থা যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার৷ সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজের খবর মিললেও বিদ্রোহীদের হাতে থাকা সিরিয়া ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকাগুলির সঙ্গে কার্যত বহির্বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন৷ ফলে সেখানে মৃত, আহতের সংখ্যা কত, কত মানুষ এখনও নিখোঁজ, উদ্ধারকাজই বা কীভাবে চলছে, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণাই পাওয়া যাচ্ছে না৷ তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা আফতাদ জানিয়েছে, তাদের কাছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর এসেছে৷ এই সংস্থাই ৮ হাজার মানুষকে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার করেছে৷ তুরস্কের এই বিপর্যয়ে দেশের প্রায় চার লক্ষ মানুষ এই মুহূর্তে বিভিন্ন সরকারি শিবির এবং হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন৷
