সম্প্রতি কাঁথির সভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘একটু দরজাটা খুলব? একটু খুলি? ১০ সেকেন্ডের জন্য?’ তারপর বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। রবিবার বিকেলে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে দেখা গিয়েছে অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের দরজায়। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে ফিরলেন সুমন। তাঁকে স্বাগত জানাতে স্টেশনে ভিড় করলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এলাকায় ফিরে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিধায়ক। নাম না করে উষ্মাপ্রকাশ করলেন জন বার্লার বিরুদ্ধেও।
ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। সন্ধের দিকে প্রকাশ্যে আসে বেশ কয়েকটি ছবি। দেখা যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই ফ্রেমে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন তাঁকে। এরপরই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। খোদ বিরোধী দলনেতা আক্রমণ করেছেন সুমন কাঞ্জিলালকে। তবে দল বদলের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন বিধায়ক। তিনি তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে চান, তা জানিয়েছিলেন। কিন্তু দলবদল প্রসঙ্গে কিছুই বলেননি। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন সুমন।
গতকাল গলায় তৃণমূলের উত্তরীয় পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুমন জানান, দুই বছর বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু মানুষের সুবিধায় কিছুই করতে পারেননি। নাম না করে তোপ দাগেন সাংসদ জন বার্লাকে। তিনিও মানুষের জন্য কিছু করেননি বলেই দাবি বিধায়কের। এরপরই তিনি তুলে ধরেন একটা ঘটনা। বলেন, ‘মানুষ নিজেদের প্রাপ্য পাচ্ছে না। আর এখানে রাজনীতির জন্য কেন্দ্রের বরাদ্দ আটকে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এটা আমি মানতে পারিনি।’ অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও উষ্মাপ্রকাশ করেন। যদিও নাম করেননি তিনি। এরপরই জানান, তিনি তৃণমূলের নীতিতে মানুষের জন্য কাজ করতে চান।