শনিবার রাতে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই চলছিল যমে-মানুষে টানাটানি। অবশেষে রবিবার দুপুরে মৃত্যু হয় বীরভূমের তৃণমূল কর্মী লাল্টু শেখের। সোমবার সকালে কলকাতা থেকে তাঁর মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছনোর পরই উত্তাল হয়ে ওঠে মাড়গ্রাম। দেহ ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন বাসিন্দারা। তাঁদের একটাই দাবি, অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই দাবি জানাবেন তাঁরা। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে গ্রামে।
প্রসঙ্গত, রবিবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় লাল্টু শেখের। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকা মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন লাল্টু। এদিন তাঁর দেহ গ্রামে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা। লাল্টু-সহ দুজনের মৃত্যুর জন্য স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সুজাউদ্দিন, তার ছেলে শেখ লাকি, শেখ বাপির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। তাদের কড়া শাস্তির দাবিতে এদিন গ্রামে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে মাড়গ্রাম এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু শেখ, তাঁর বন্ধু নিউটন শেখ, সুজাউদ্দিন নামে তিন তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলেই অভিযোগ। বোমাবাজির পর রক্তাক্ত অবস্থাতেই তাঁদের লোহার শাবল-সহ নানা ধরনের ভারী বস্তু দিয়ে মারধর করা হয়। পথেই মৃত্যু হয় নিউটন শেখের। জখম লাল্টু শেখকে প্রথমে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ট্রমা কেয়ার ইউনিটেই রবিবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং পরপর তিনবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে লাল্টুর প্রাণ গিয়েছে বলেই জানান চিকিৎসকরা।