সম্প্রতি হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর মহা বিপাকে পড়েছে আদানি-গোষ্ঠী। ক্রমশ পতন ঘটেছে তাদের শেয়ারের মূল্যের। গত এক সপ্তাহে দেশের বাজারে বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা। এবার তার জেরে খানিক বিপর্যস্ত আমেরিকার শেয়ার বাজারও। নিম্নগামী ডাও জোন্স সূচক। শুক্রবার শেয়ার বাজারে আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারের দর ১০ শতাংশ পড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে আদানি পাওয়ার, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি টোটাল গ্যাস (যার ৩৭.৪ শতাংশ শেয়ার ফরাসি সংস্থা টোটালএনার্জির হাতে) এবং আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার কেনাবেচা সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়। পরে আবার তা চালু হলেও পতন ঠেকানো যায়নি। সামগ্রিকভাবে আদানিদের ওই সংস্থাগুলির শেয়ার দর পড়েছে ৫ শতাংশেরও বেশি। আর তার অভিঘাতে ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে পতন ঘটে ডাও জোন্স সূচকে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে আদানি এন্টারপ্রাইজেস ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) প্রক্রিয়া স্থগিত করার কথা ঘোষণা করায় আরও গভীর হয়েছে সংকট। এ পর্যন্ত বাজারে আদানি গোষ্ঠীর সম্পদ ১০ হাজার কোটি ডলারেরও (প্রায় ৮ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকা) বেশি কমে গিয়েছে। গত সপ্তাহেও বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় আদানি ছিলেন তৃতীয় স্থানে। ফোর্বসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই তালিকায় আদানির অবস্থান ১৬ নম্বরে। যা স্বাভাবিকভাবেই প্রবল দুশ্চিন্তায় ফেলেছে তাঁকে।