সম্প্রতি আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কারচুপি করে ধনী হয়েছে আদানিরা। শেয়ার বাজারে তাদের যে অবস্থান, তার অনেকটাই কৃত্রিম। আর তারপর থেকেই ক্রমাগত পড়ছে আদানিদের শেয়ারের দর। গত এক সপ্তাহে বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় এই শিল্পগোষ্ঠী। একইসঙ্গে বিপাকে পড়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশও। কারণ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগের জেরে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে ঝাড়খন্ডের গোড্ডা থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি নিয়ে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ড ২০১৭ সালে হওয়া ওই চুক্তির সংশোধন চেয়েছে। তাদের বক্তব্য, বিদ্যুতের মাশুল নির্ধারণে আদানি গোষ্ঠী কয়লার যে দাম ধরেছে তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেকটা বেশি। চলতি পরিস্থিতিতে চুক্তি সংশোধন নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে আদানিদের কোম্পানির শেয়ার দ্রুত পড়ে যাওয়ায়। বাংলাদেশে রাজনৈতিক মহলেও আদানি কাণ্ডের প্রভাব পড়েছে। আদানিদের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তির সময়ই কথা উঠেছিল, ভারতকে তুষ্ট করতেই সে দেশের কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানিদের বিদ্যুৎ প্রকল্পে অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা আমদানি করা হয়। স্বভাবতই সেই কয়লার দাম বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বক্তব্য, আদানিরা কয়লার দাম অত্যন্ত বেশি দাবি করেছে। পাঁচ বছর আগের সেই চুক্তির পরিবর্তন দরকার। কিন্তু আদানিদের চলতি সংকটের জেরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।