উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বিতর্ক আর বিশ্বভারতী যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। এবার রবি ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফের বেনজির সংঘাত। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে উপাচার্যকে তোপের পর এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠির তোড়জোড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যার ফলে চরমে উঠেছে বিশ্বভারতী-রাজ্য সংঘাত।
বুধবারই বুধবার বোলপুরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের রায় ওরা মানেনি। ওদের কথা আগে শুনব, তারপর আমাদেরটা জানাব। আমরা অল রেডি প্ল্যান করে নিয়েছি, চিন্তা করার কারণ নেই। রবীন্দ্রনাথের শেষ বংশধর সুপ্রিয় ঠাকুর আমার কাছে দুঃখ করছিলেন, তাঁর বাড়ির সামনেও পাঁচিল তুলে দিয়েছেন। বিশ্বভারতীকে গৈরিকীকরণ করতে চান ওঁরা।’
প্রসঙ্গত, বোলপুরের মাটিতে অর্মত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে আসে বিশ্বভারতীর একটি বিবৃতি। তাতে মমতাকে তুলোধনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলে, ‘পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন।’ আরও লেখা হয়, ‘স্তাবকরাই শেষ কথা।’ এ-ও জানিয়ে দেওয়া হয়, বিশ্বভারতীর ওপর মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদ না থাকলেও চলবে। কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে চলবে।
এই বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পরও চরমে ওঠে সংঘাত। তৃণমূলের তরফে এর তীব্র নিন্দা করা হয়। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিশ্বভারতীর প্রেস রিলিজে যখন বিশ্বকবির মার্গ দর্শনে চলি না লিখে লেখা হয়, প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শনে চলি, তখনই বোঝা যায় এটি কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নয়, বিজেপির আখড়ায় তৈরি একটি রাজনৈতিক চিরকুট। ফলে এতে বাস্তব রুচি, শালীনতা থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। মুখ্যমন্ত্রীকে কুৎসিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।’