প্রবল বিপাকে পড়েছেন ভারতের অন্যতম ধনকুবের গৌতম আদানি। এবার ফের সমস্যার মুখোমুখি তিনি। সম্প্রতি হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানি-গোষ্ঠীর সব সংস্থার শেয়ারেরই পতন ঘটেছে। গত এক সপ্তাহে ২৬ শতাংশ পড়ে গিয়েছে আদানিদের সর্ববৃহৎ সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার। বাকিগুলির অবস্থাও কার্যত তথৈবচ। এমতাস্থায় যে সমস্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে আদানির সংস্থার লেনদেন চলে সেগুলির দিকে নজর রাখছে আরবিআই। ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া আদানিদের ঋণগুলির বর্তমান পরিস্থিতি কী, তাও খতিয়ে দেখছে তারি। এমনই জানাচ্ছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। শোনা যাচ্ছে, সেবিও নাকি তদন্ত শুরু করেছে। যেভাবে গৌতম আদানির সংস্থাগুলির শেয়ার পড়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তাদের শেয়ার বিক্রির সময় কোনও অনিময় করা হয়েছিল কিনা, সেদিকেও নজর রাখছে তারা।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারে ক্রমাগত বিপর্যয় রুখতে বাজেটের দিনই এফপিও প্রত্যাহার করে নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। শেয়ার বাজারে রক্তক্ষয়ের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার এফপিও বাজারে ছেড়েছিল আদানিরা। সেই শেয়ার পুরোপুরি বিক্রিও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লাগাতার দর পড়ায় বিনিয়োগকারীদের মোটা অঙ্কের লোকসানের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তাই একপ্রকার মুখরক্ষা করতেই এফপিও প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আচমকাই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার পতনের প্রভাব দেখা দিয়েছে ভারতীয় অর্থনীতিতেও। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা খোওয়াতে হয়েছে ভারতকে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উঠে এসেছে ফ্রান্স। এক ধাক্কায় ৩.২ ট্রিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছে ভারতের বাজার মূলধন। মাত্র ১০ কোটি ডলারের ব্যবধানে ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ব্রিটেন। তবে এই পরিস্থিতিতেও আদানিদের দাবি, একাধিক সংস্থায় ১০০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে তাদের। সেই সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। তাই তাদের সম্পত্তি কমে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তাদের আশ্বাস সত্ত্বেও ঘনীভূত হয়েছে নানান সংশয়।