বুধবার সংসদে ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ভাষণের শুরুতেই তিনি দাবি করেন, মোদী সরকারের ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ মন্ত্র মেনেই নাকি বাজেট তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও বলেন, ‘এবারের বাজেট সকলের জন্য।’ অথচ এবারই সংখ্যালঘু মন্ত্রকের বরাদ্দ একলাফে ৩৮ শতাংশ কমে গেল। যার কোনও ব্যাখ্যা সরকারি মহল থেকে মেলেনি। সংখ্যালঘু মন্ত্রক মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ, শিখদের গরিব অংশের কল্যাণেই কাজ করে থাকে। ভারতে সংখ্যালঘুদের বড় অংশ মুসলিম। দেশের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ। স্বভাবতই বাজেট কমায় ক্ষতি বেশি মুসলিমদের।
সরকারি সূত্রে খবর, ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরে সংখ্যালঘু মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ ছিল ৫০২০.৫০ কোটি টাকা। এবার বরাদ্দের পরিমাণ কমে হয়েছে ৩০৯৭. ৬০ কোটি টাকা। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ২০২১-২২ অর্থ বছরেও এবারের চেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছিল মোদী সরকার। সেবারে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৪৩২৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবারের বরাদ্দের পরিমাণ দু বছর আগের তুলনায় ২৯ শতাংশ কম। উল্লেখ্য, কেন্দ্রে সংখ্যালঘু মন্ত্রকের সূচনা হয়েছিল ২০০৬ সালে। শুরুর বছরে ১৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার। ওই সরকারের শেষ বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ৩৫৩১ কোটি টাকা। মোদী সরকারের সময়ে ধারাবাহিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু এবার সংখ্যালঘু মন্ত্রকের বরাদ্দ হ্রাসের নজির গড়ল মোদী সরকার।