গতকাল, অর্থাৎ সোমবার সমাপ্তি ঘটেছে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র। তবে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের এই সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার যাত্রার প্রভাব ও প্রাপ্তি নিয়ে কংগ্রেস যে এখনই মাথা ঘামাতে রাজি নয়, এদিন শ্রীনগরের সভামঞ্চ থেকে তা সাফ জানিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। এই যাত্রার সুবাদে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী জোট গড়ার স্বপ্ন যে আপাতত সংশয়ে, সমাবেশে অন্য দলের উপস্থিতি থেকেই তা স্পষ্ট। ২১টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কংগ্রেসের আশা ছিল অন্তত ১২টি দল সাড়া দেবে। শেষ পর্যন্ত উপস্থিতি সেই সংখ্যা ছুঁতে পারেনি। তবে তাতে হাল ছাড়ার পাত্র নয় শতাব্দীপ্রাচীন দলটি।
এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপালের বক্তব্য, কংগ্রেসের লক্ষ্যপূরণ হয়েছে। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যাঁরা হেঁটেছেন, তাঁর যাত্রা প্রত্যক্ষ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন, তাঁদের বেশিরভাগের সঙ্গে কংগ্রেস দলের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তাঁরাও মনে করেন, দেশকে ধর্ম ও জাতের ভিত্তিতে বিভাজিত করা হচ্ছে। এই ফাটল জোড়া লাগানো দরকার। বেণুগোপাল ঘোষণা করেন, এ বছরই ভারত জোড়ো পার্ট-টু হবে। তবে কবে, কোনও এলাকা থেকে যাত্রা শুরু হবে, রাহুলই যাত্রার মুখ হবেন কি না, স্পষ্ট করেননি তিনি। উল্লেখ্য, গত ২৬শে জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবস থেকে কংগ্রেস ‘হাত সে হাত’ জোড়ো কর্মসূচী চালু করেছে। বেণুগোপাল জানান, আগামী তিনমাস এই কর্মসূচী চলবে। তারপর ঘোষণা করা হবে ভারত জোড়োর দ্বিতীয় দফার কর্মসূচী। হাত সে হাত জোড়ো কর্মসূচীতে জনগণের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবার সংকল্প নিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
