দুঃসময় অব্যাহত ভারতের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ধনকুবের গৌতম আদানির। ২০২২-এ তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ছিলেন একদম প্রথমসারিতে। তবে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই এবার বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীদের তালিকা থেকে চ্যুত হলেন তিনি। পাশাপাশি, ভারতের অন্য আরেক ধনকুবের মুকেশ আম্বানিও শীর্ষ ১০ ধনীদের তালিকার বাইরে চলে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২৪শে জানুয়ারি আদানি গ্রুপ সম্পর্কে আমেরিকান গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্টের পরে, গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন কোম্পানিগুলির শেয়ারে তীব্র পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। যার ফলে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি এই তালিকার প্রথম দশ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে গৌতম আদানির মোট সম্পদে বড়সড় পতন ঘটেছে। এমতাবস্থায়, ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে জানা গিয়েছে যে, আপাতত গৌতম আদানির মোট সম্পদ মাত্র ৮৪.৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় একাদশ স্থানে রয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি, বিজনেস টুডে অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে হিন্ডেনবার্গের নেতিবাচক রিপোর্টটি সামনে আসার পর থেকে, আদানি গ্রুপের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির শেয়ারের পতনের কারণে কোম্পানিগুলির মোট মার্কেট ক্যাপ ৫.৫ লক্ষ কোটি টাকা কমেছে। মাত্র তিন দিনেই এই বিপুল অঙ্কের পতন দেখা গিয়েছে। এদিকে, আদানি টোটাল গ্যাস এবং আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ারে গত চার দিনে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়াও, আদানি পোর্টস থেকে শুরু করে আদানি উইলমার পর্যন্ত একাধিক শেয়ারের ক্রমশ পতন ঘটছে।হমার্কিন ফরেনসিক আর্থিক গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ সম্প্রতি তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে আদানি গ্রুপের সমস্ত কোম্পানির ঋণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি, রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে আদানি গ্রুপের ৭ টি বড় তালিকাভুক্ত কোম্পানির ৮৫ শতাংশেরও বেশি ওভারভ্যালুজ হয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সর্বশেষ রিপোর্টে আদানি গ্রুপকে ৮৮ টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। যা কোনও সদুত্তর মেলেনি বলেও জানিয়েছে তারা।
