আজ, সোমবার থেকে শুরু হল ৪৬ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। এদিন বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আগে অন্য রাজ্যের লোক ভাবতেন, এটা আর কী, আমাদেরও তো মেলা হয়। কিন্তু আমি আজ অভিনন্দন জানাচ্ছি, অনেক রাজ্যের বইপ্রেমিক মানুষরা এখানে এসেছেন। দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশের বইপ্রেমিকরা এসেছেন। মমতার দাবি, কলকাতা বইমেলা মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্পেন থেকে এবার অনেকে এসেছেন। তাঁদেরকে অভিনন্দন জানাই। আমি অত্যন্ত ক্ষুদ্র মানুষ। আমার সবটাই কুৎসার আঙিনায়, অপপ্রচারের আলিঙ্গনে কোথাও কোথাও…কারোর কারোও পছন্দ নাও হতে পারে, নাই হতে পারে। আমি তো সমালোচনার উর্ধ্বে নই। আমার সমালোচনা করলে আমি খুশি হই। কারণ তার থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। সমালোচনার থেকে বড় জিনিস আর কী হতে পারে? যে তোমায় খারাপ বলে বলুক, তুমি খারাপ বলো না। তার মধ্যেও কাজে ফাঁকি দিয়ে ১২৮ টা বই আমার বেরিয়েছে। সেখানে ইংরাজি বইও আছে। এইবার আমার কেবল ৬টা বই বেরিয়েছে। আমার আরও ৪-৫টা বই লেখার কাজ চলছে।’ এরপরই ‘আমাদের সংবিধান ও কিছু কথা’, ‘দুয়ারে সরকার’, ‘আপনার আমার’, ‘লহ প্রণাম’, ‘মহিয়সী ছড়ায় ছড়ায়’, ফেস্টু বইগুলির নাম করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, বইমেলায় যাতায়াতের জন্য ফুট ওভার ব্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। বইমেলার জন্য বাসের সংখ্যা বাড়াতে অনুরোধ করছি। যাতে মানুষ রাতে ফিরতে পারে। পাশাপাশি, তিনি জানান, ‘নতুন একটার সূচনা হবে। আমি মনে করি, দিল্লীতেই আমাদের একটা বইমেলা করা উচিত। বাংলা বইমেলা দিল্লীতে হবে। তাতে প্রত্যেকটা জেলা অংশ নেবে।’ মমতার দাবি, ‘একটা উইপোকা কামড়ালে, সেটা দেখানো হয়। কিন্তু কেউ একজন ভালো বই লিখলে, সেটা দেখানো হয় না। এক জন ভালো গান গাইলে, সেটা নিয়ে পর্যালোচনা হয় না। কেন রাজনীতির লোক বই লিখতে পারে না? রাজনীতির লোক তখনই রাজনীতি করতে পারেন, যখন তিনি সামাজিক জীব হিসাবে নিজেকে আগে রক্ষিত করেন। সংস্কারে মন দেন। রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর সমাজ সংস্কারক হিসাবে পরিচিত ছিলেন। নেতাজির তরুণের স্বপ্ন খুঁজে বেরাই। শিল্পীদের শিল্পকলা এই কয়েকদিনের বইমেলাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে।’