দীর্ঘদিন ধরেই লাদাখের প্রকৃতি বাঁচানোর ডাক দিয়ে আসছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী সোনম ওয়াংচুক। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতীকী অনশন শুরু করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, মোদী সরকারের নীতির বিরোধিতায় সরব হওয়ার কারণে গৃহবন্দি হতে হয়েছে বলেও দাবি করেছেন সোনম। এবার পাঁচদিন ব্যাপী অনশনের শেষ দিনে দেশবাসীর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন বাস্তবের ‘ফুংসুক ওয়াংড়ু’। দেশের নানা প্রান্তের জনতার প্রতি তাঁর আবেদন, “সকলে মিলে অনশন করে লাদাখের পাশে দাঁড়ান।” গত ২৬শে জানুয়ারি থেকে পাঁচদিন ধরে অনশন শুরু করেছিলেন সোনম। শেষ দিনে একটি ভিডিও আপলোড করে তিনি বলেন, “সোমবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমার সঙ্গে অনশনে যোগ দেবেন অনেকেই। আমি অনুরোধ করব সমস্ত দেশবাসীও যেন নিজেদের এলাকায় অনশন করেন। তাহলে আমাদের বার্তা আরও জোরদার হবে, আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে পারব।” ৩০শে জানুয়ারি এই অনশন শেষ হবে। মাইনাস ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় অনশনে বসেছিলেন সোনম।
উল্লেখ্য, লাদাখে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল দ্রুত কার্যকর করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন সোনম। তাঁর মতে, লাদাখ সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্তের কারণে ক্রমেই ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এই এলাকাটি। নীতি নির্ধারণে যদি এইভাবে গাফিলতি হতে থাকে, তাহলে লাদাখের দুই-তৃতীয়াংশ হিমবাহ গলে যাবে। সোনম বলেছেন, নিজের এলাকা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হোক লাদাখের মানুষকেই। তাই ষষ্ঠ তফসিল কার্যকর করার দাবিতে স্বর তুলেছেন তিনি। বিশিষ্ট সমাজসেবী জানিয়েছিলেন, তাঁকে গৃহবন্দী করেছে প্রশাসন। দীর্ঘ ১৮ মিনিটের ভিডিওয় তাঁকে লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে সোনমের দাবি, লাদাখের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও প্রশাসন এমনই অপটু, তারা সেই টাকার যথাযথ প্রয়োগ করতে পারছে না। ”মানুষের এতে কোন অংশই নেই। কোনও গণতন্ত্র নেই!”, আক্ষেপ প্রকাশ করে এমনই জানিয়েছেন সোনম।