এবার বিজেপি নেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতি৷ সাফ জানালেন যে, হিরণ বেশি বাড়াবাড়ি করলে এবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে কী কথোপকথন হয়েছিল, তা প্রকাশ করে দেবেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাননি বলে দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়৷ গতকাল তিনি অভিযোগ করেন, তিনি অভিনয় করলে সেই ছবি রিলিজ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছে তৃণমূল৷ তারই পাল্টা হিরণকে হুঁশিয়ারি দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা অজিত।
শনিবার বিজেপি বিধায়কের দাবি করেছেন, অজিত মাইতির সঙ্গে অভিষেকের দফতরে তাঁর বসে থাকার যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা ভুয়ো৷ অজিত মাইতি পাল্টা দাবি করেছিলেন, হিরণকে এখনই দলে নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন অভিষেক৷ অজিত মাইতি বলেন, “ওর মতো চোর, চোট্টা এসব তো বলতে পারব না৷ কিন্তু এটা বলছি, ও সিনেমা করার যোগ্যতা হারিয়েছে৷ অভিষেকের অফিসের ছবি প্রকাশ করে তো প্রথম তথ্যটা দিয়েছি৷ এর পর বাড়াবাড়ি করলে অভিষেক কী বলেছে, ও কী বলেছে, আমি কী বলেছি, এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিট ধরে কী কী কথা হয়েছে, সেগুলো এবার বাইরে আনব৷” এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ মিথ্যে ছবি ছড়ানো হয়ে থাকলে বিজেপি বিধায়ককে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক।
পাশাপাশি, অজিত জানিয়েছেন, ”হিরণ তাঁর অসহায়ত্বের কথা বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করে। ও বলেছিল বিজেপিতে ও মানিয়ে নিতে পারছে না। খড়গপুরটা পুরো দিলীপ ঘোষের দখলে। ও এরকমই। এখন সবাই ওকে নিয়ে হাসছে। গোটা জেলা জানে ও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে । তৃণমূলে ফিরতে এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছিল ও যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ফোন করার চেষ্টা করে।” কিন্তু, এতটা মরিয়া হওয়ার পরও আচমকা হিরণের এমন পদক্ষেপ কেন? এর উত্তরও খোলসা করে জানিয়েছেন অজিত মাইতি। ”অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, এখন দলে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই তারপরই এই পাল্টি”, জানিয়েছেন অজিত।