মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে জনসাধারণের বাকস্বাধীনতা। রাষ্ট্রীয় কোপের কবল থেকে রেহাই পায়নি সংবাদমাধ্যমও। সম্প্রতি বিবিসির নির্মিত একটি তথ্যচিত্র শাসকদল বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ‘ইন্ডিয়া : দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নামক ওই ছবিতে গুজরাত-দাঙ্গা এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা সম্বন্ধে তুলে ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সে নিয়ে তুঙ্গে তোলপাড়। ভারতে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদী সরকার। এমতাবস্থায় বেসরকারি চ্যানেলগুলির উপরও নতুন বিধি আরোপ করল কেন্দ্র। প্রতিদিন সরকারি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে — এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। সোমবার বিবৃতি জারি করে মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ধরে কিছু অনুষ্ঠান দেখাতে হবে। নানা ক্ষেত্রে জনস্বার্থে প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলির সম্প্রচার বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। প্রতি মাসে এই সম্প্রচার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে ব্রডকাস্ট সেবা পোর্টালে একটি রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
উল্লেখ্য, উক্ত বিবৃতিতে নয়টি বিভাগের উল্লেখ করেছে মন্ত্রক। শিক্ষা, কৃষি, বিজ্ঞানের মতো ক্ষেত্রের পাশাপাশি নারী কল্যাণের বিষয়ে সরকারি অনুষ্ঠান দেখাতে হবে প্রাইভেট চ্যানেলে। দেশের অখণ্ডতা ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানও সম্প্রচার করতে হবে বলে নির্দেশিকা দিয়েছে মন্ত্রক। নয়টি বিষয়ের মধ্যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রতিদিন আধঘণ্টা সময় বরাদ্দ করতে হবে বেসরকারি চ্যানেলে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি চ্যানেলগুলির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তাঁদের মতামত নিয়েই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে মন্ত্রক। দেশের গুরুত্ব ও সমাজে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি নিয়েই ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠান দেখাতে হবে। একটানা আধঘণ্টা না হলেও ভাগে ভাগে প্রতিদিন এই সময়সীমা পূরণ করতেই হবে। ইতিমধ্যেই এহেন নির্দেশিকা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়। সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।