হাতে আর বেশিদিন নেই। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্যে। আর সেই ভোটে দলের আদি শিবিরকে মাঠে না নামানো গেলে স্বাভাবিক ভাবেই পার্টির ক্ষতি। কিন্তু পদ থেকে সম্মান—কোনটিই পাচ্ছেন না তাঁরা। ফলে কাজ করাও বন্ধ করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এবার সরাসরি রাজ্য বিজেপি নেতাদের প্রশ্ন করা হয়েছে, পুরনোদের যোগ্য সম্মান ও দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কি? পুরনো নেতা–কর্মীরা কি মাঠে নামছে? এই প্রশ্নবাণই এবার রাজ্যে বিজেপির নেতাদের কানে তুললেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। আর তাতেই চাপ বাড়ল। অবিলম্বে রাজ্য নেতৃত্ব ও জেলা সভাপতিদের বলা হয়েছে পুরনোদের তালিকা তৈরি করে তাদের বৈঠকে ডাকতে হবে। নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিতে হবে। দলের মধ্যে ক্ষোভ, কোন্দল এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, পুরনোদের গুরুত্ব দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় দেখছেন না সুনীল বনশল থেকে মঙ্গল পাণ্ডেরা। কারণ, কমিটিতে বা পদে বিক্ষুব্ধদেরও কাছে টানতে হবে।
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনে ভরাডুবির পর বঙ্গ বিজেপির সংগঠন ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। তারপর একাধিক উপনির্বাচন ও পুরভোটে পর্যুদস্ত হয়েছে দল। ভোটের গ্রাফও ক্রমশ নেমেছে। আর নেতাদের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ চলছে পালা করে। রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও ফাটল প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্য বিজেপির বর্তমান ক্ষমতাসীন শিবিরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর থেকে শুরু করে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। এরপর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুকান্ত-দিলীপ ও শুভেন্দুর মধ্যে দূরত্ব সামনে এসেছে। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সর্বত্রই বুথ ও মণ্ডলস্তরে সংগঠনের বেহাল ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। গোষ্ঠী কোন্দলের ছবিটাও পরিষ্কার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত এবং ২০২৪-এ লোকসভা ভোটের কথা ভেবে দলকে চাঙ্গা করতে বিক্ষুব্ধ শিবিরের ক্ষোভে মলম লাগিয়ে তাদের কাছে টানার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
