এবার বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে পাল্টা কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন তাঁর ছবি কেউ বিকৃত করে প্রচার করলে পুলিশে অভিযোগ জানাতেন। প্রসঙ্গত, শনিবার বজবজের নোদাখালিতে জেলা প্রশাসনিক বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তার কিছুক্ষণ আগেই কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে হিরণ দাবি করেন, তাঁর তৃণমূলে যোগদানের খবর ভিত্তিহীন। তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁকে জুড়ে, ছবি বিকৃত করে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল বার্তা ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গ উঠতেই অভিষেক বলেন, ‘‘আমার ক্ষেত্রে যদি এমনটা ঘটত, তা হলে আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতাম। যে এই ছবিটা পোস্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতাম। সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মানিহানির মামলা করতাম।’’ এর পরই অভিষেকের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘আমার কাছে অনেক প্রমাণ রয়েছে। সেই সব আমি প্রকাশ্যে আনতে পারি। কিন্তু এটা অনৈতিক হবে। তাই সেই সব জিনিস প্রকাশ্যে আনব না। আমরা নীতিহীন কাজ করি না।” এক মিনিটেই হিরণের দাবি নস্যাৎ করতে পারেন বলে জানান অভিষেক।
পাশাপাশি কটাক্ষের সুরে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘বিজেপির তো অনেক এজেন্সি রয়েছে। তা হলে দেখা হোক, সে দিন হিরণ কোথায় ছিলেন।’’ গত ১০ই জানুয়ারি জল্পনা ছড়ায়, বিজেপির খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে গিয়ে বৈঠক করেছেন। পরে একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে যেখানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতির সঙ্গে হিরণকে বসে থাকতে দেখা যায়। এমনও শোনা যায়, আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারি অভিষেকের জনসভায় যোগ দেবেন হিরণ। কিন্তু শনিবার বিধানসভার গেটে সাংবাদিক বৈঠক করে হিরণ জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপিতেই আছে। এবং বিজেপিতেই থাকবেন। ১০ই জানুয়ারি হিরণের অভিষেকের দফতরে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক জল্পনা। ঘটনাচক্রে এই অসময়েই দেখা যায়, হিরণের টুইটার হ্যন্ডলে তাঁর বিজেপি পরিচয় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়েই তুঙ্গে উঠেছিল জল্পনা।