এবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ প্রচারের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে খেতে গিয়ে কৃষিকাজে হাত লাগালেন বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। রীতিমতো হাঁটুজলে নেমে রোপন করলেন ধানের চারা। তাতে আপ্লুত কৃষকরা। ‘দিদির দূত’ শ্যামল আমজনতার কাজে হাত লাগিয়ে যেন বুঝিয়ে দিলেন, তিনি প্রকৃত জনপ্রতিনিধি।
শুক্রবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়ে বোঝাতে শঙ্কর মণ্ডল নামে এক কৃষকের খেতে গিয়েছিলেন বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। সেখানে তিনি জানতে পারেব, সারের মূল্য বৃদ্ধি, বীজ-সহ চাষের অন্যান্য জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষকরা মরনাপন্ন। ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এসবের পিছনে কেন্দ্রের সরকারকে দায়ী করছেন কৃষকরা। তাঁদের এমন দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। তিনি তড়িঘড়ি ওই কৃষকের ধানজমিতে নেমে পড়েন। কৃষকের সঙ্গে মাঠে ধান রোপণের কাজ শুরু করে দেন। ধান রোপণ করেন বাসন্তী ব্লকের তৃণমূল কনভেনার মন্টু গাজী সহ অন্যান্যরা।
বিধায়কের এমন কার্যকলাপে দিশাহারা হয়ে অবাক হয়ে যায় কৃষক শঙ্কর মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘বিধায়ক যে এই ভাবে বন্ধু হিসাবে মাঠে নেমে কাজে সহযোগিতা করবেন, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। এমন কৃষক বন্ধু বিধায়ক রাজ্যে আর আছে কি না, তা একবার ভাবতে হবে।’ এ প্রসঙ্গে ক্যানিংয়ের ডাবু গ্রামের এক কৃষকও বলেন, ‘শ্যামল মণ্ডল মানবদরদী, দরিদ্র কৃষকের দুঃখ-দুর্দশা বোঝেন। সেই কারণেই বিগত প্রায় বছর সাতেক আগে উত্তর রেদোখালি গ্রামে বর্ষাকলে এক কৃষকের ধানক্ষেতে হাঁটুসমান জলে নেমে ধান রোপণ করেছিলেন। এমনকি ধান কাটা ও ঝাড়াইয়ের কাজ ও করেছিলেন। এমন মানবদরদী বিধায়কের কোনও তুলনা হয় না।’
অন্যদিকে, শ্যামলবাবু বলেন, ‘জ্যোতিষপুর এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ প্রচারের জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে দরিদ্র এক কৃষকের ক্ষেতে নেমে ধান রোপণ করে দিয়েছি। কারণ আমাদের সরকার যে কৃষক বন্ধু সেটা কৃষকরা ভাল মতোই জানেন। এছাড়া কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা। ফলে তাদের পাশে আমাদের থাকাটাই কর্তব্য বলে মনে করি।’