গতকাল, অর্থাৎ বুধবার ‘পদ্ম’ সম্মানের তালিকা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। পল্লীগীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে জলপাইগুড়ির শতবর্ষীয় সংগীতশিল্পী মঙ্গলাকান্ত রায়। সারিন্দার ছড়ের টানে যুগের পর যুগ ধরে মেঠো সুর তুলেছেন তিনি। মঙ্গলাকান্ত রায়ের পদ্মশ্রী প্রাপ্তির খবর পেতেই সকাল থেকে গুণমুগ্ধদের ভিড় জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির ধওলাগুড়ি গ্রামে। মঙ্গলাপ্রাপ্তির বয়স পেরিয়েছে ১০০ বছর। এতদিন বাদে তিনি যথাযোগ্য সম্মান পেলেন বলে মনে করছেন তাঁর অনুরাগীরা। তাঁর বাদ্যযন্ত্র, সুর পদ্ম পুরস্কার পাওয়ায় খুশি শতায়ু শিল্পী নিজেও। কিশোর বয়স থেকেই লুপ্তপ্রায় বাদ্যযন্ত্র সারিন্দাকে সঙ্গী করে বেড়ে উঠেছেন মঙ্গলাকান্ত রায়ের। সারিন্দা বাদ্যযন্ত্রে পাখির ডাক হুবহু নকল করতে পারেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে সারিন্দা শিখেছেন বহু লোকশিল্পী।
পাশাপাশি, পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়ে উত্তরবঙ্গের মুখ উজ্জ্বল করেছেন আলিপুরদুয়ারের টোটো পাড়ার বাসিন্দা ধনিরাম টোটো। বিসিডবলু ডিপার্টমেন্টের অর্থাৎ অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন বিভাগের আলিপুরদুয়ার জেলায় সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার ৫৯ বছরের ধনিরাম টোটো। টোটো জনজাতির টোটো ভাষার হরফ তৈরি-সহ পৃথিবীর আদিম জনজাতি টোটোদের শিক্ষা সংস্কৃতি নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। বর্তমানে টোটোপাড়াতেই সোশ্যাল ওয়েল ফেয়ার অফিসার পদে কর্মরত তিনি। টোটো ভাষায় হরফ তৈরি করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন। তাঁর পদ্মশ্রী পাওয়ার খবরে টোটো জনজাতির মানুষজনের মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। তবে পদ্মশ্রী পাওয়ার খবর তিনি এখনও জানেন না বলেই জানিয়েছেন ধনিরাম।