আগামী বছরেই লোকসভা নির্বাচন দেশে। হাতে আর ঠিক ১৫ মাস রয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে শাসক বিরোধী দুই শিবিরই ঘর গোছাতে শুরু করেছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে ২০২৪ লোকসভাতেও নরেন্দ্র মোদীই এনডিএ শিবিরের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হতে চলেছে। দলের সভাপতি পদে জেপি নাড্ডার কার্যকালের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির একাধিক জনসংযোগ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কিন্তু এসব প্রস্তুতির মধ্যেই একটি সমীক্ষার তথ্য বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে দেশে নির্বাচন হলে অনেকটাই কমবে বিজেপি তথা এনডিএ জোটের আসনসংখ্যা। ২০১৯ লোকসভায় যেখানে এনডিএ জোট ৩৪০টির বেশি আসন পেয়েছিল। সেখানে এই মুহূর্তে ভোট হলে এনডিএ জোটের আসন সংখ্যা নেমে আসতে পারে তিনশোর নিচে। ২৯৮টি আসনে জিততে পারে তাঁরা।
শুধু তাই নয়। দল হিসাবে বিজেপির আসন সংখ্যাও অনেকটা কমতে পারে। তারা ২৮৪টি আসনে জয়ের মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের আসনসংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে। ২০১৯ লোকসভায় যেখানে ইউপিএ পেয়েছিল ৯০টির কিছু বেশি আসন সেখানে এই মুহূর্তে ভোট হলে তাঁরা পেতে পারে ১৫৩ আসন। শুধু কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ৯১টি আসন। অন্যান্যদের ৯২টি আসনে জয়ের সম্ভাবনা আছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ভোট কমছে বিজেপির। এখনই ভোট হলে এনডিএ পেতে পারে ৪৩ শতাংশ ভোট। যা ২০১৯ লোকসভার থেকে ২ শতাংশ কম। তাৎপর্যপূর্ণভাবে লোকসভা ভোট এখনও ১৫ মাস বাকি। বিরোধীরা বলছে, ভোট যত এগিয়ে আসবে সরকার বিরোধী ক্ষোভ তত বাড়বে। আর সেটাকে বিজেপির বিরুদ্ধে কাজে লাগানো যাবে। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ হবে অন্যান্য দলগুলি। যদি বিজেপি বিরোধী সব দলকে একত্রিত করে যোগ্য কাউকে নেতা হিসাবে দাঁড় করানো যায়, তাহলে চাপে পড়তে পারে বিজেপি।