শেষমেশ মিলল সুরাহাসূত্র। খুশির হাওয়া এলাকাবাসীদের মনে। প্রায় ৬ বছর বাদে অবশেষে জমি জট কাটল হাওড়া জেলার সাঁকরাইল ব্লকের প্রস্তাবিত জলপ্রকল্প গড়ে তোলার কাজে। খুব তাড়াতাড়ি এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০১৬ সালে সাঁকরাইল ব্লকে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প গড়ে তুলতে ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গা থেকে জল তুলে তা পরিশুদ্ধ করে পাইপের মাধ্যমে ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে এটাও ঠিক হয়েছিল যে সাঁকরেল ব্লকের মানুষজন ছাড়াও এই প্রকল্পের বাড়তি জল সরবরাহ করা হবে হাওড়া জেলারই ডোমজুড়, পাঁচলা এবং উলুবেড়িয়া-২ এই ৩টি ব্লকেও। সব মিলিয়ে লাভবান হবেন প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ। কিন্তু জমি জটের কারণে সেই প্রকল্পের কাজই শুরু করা যায়নি এতদিন ধরে। কিন্তু সম্প্রতি সেই জমি জট কেটে গিয়েছে। ঠিক করা হয়েছে সাঁকরাইল স্টেশনের পাশে থাকা ভারত কো-অপারেটিভের জমিতে নির্মিত হবে এই প্রকল্পের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট।
উল্লেখ্য, উক্ত প্রকল্পের ঘোষণাকালে ঠিক করা হয়েছিল যে, সাঁকরাইলের ডেল্টা জুট মিলের জমিতে এই প্রকল্পের জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হবে। গঙ্গা থেকে জল তুলে সেখানে নিয়ে এসে তা মজুত করা হবে ৭টি সুউচ্চ জলাধারে। তারপর পাইপ যোগে তা সরবরাহ করা হবে সাঁকরাইল ব্লকের ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই সব গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে রয়েছে আন্দুল, থানামাকুয়া, দুইল্যা, ধূলাগড়ির মতো এলাকাও। এর পাশাপাশি ডোমজুড়, পাঁচলা ও উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের আরও ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই জল সরবরাহ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পটির জন্য ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদনও করে রাজ্য মন্ত্রিসভা। মনে করা হয়েছে ২০১৯-২০র মধ্যেই সেই প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা বাঁধে ডেল্টা জুট মিল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জমি ছাড়াতে রাজি না হওয়ায়। এর জেরে প্রকল্পটি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। আদৌ এই প্রকল্প গড়ে উঠবে কিনা একসময় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। শেষে সাঁকরেল স্টেশনের পাশে এই প্রকল্পের জল শোধনের জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানেই মিলেছে জমি। ইতিমধ্যেই সেই জমি পরিদর্শন করে ফেলেছেন সাঁকরাইল ব্লকের বিডিও, বিএলআরও এবং প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা জনস্বাথ্য কারিগরী দফতরের আধিকারিকেরা। শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে কাজ।