প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্য়চিত্র নিষিদ্ধ হয়েছে এ দেশে। বিষয়টি নিয়ে দেশের অন্দরেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। এবার একই ইস্যুতে ভারতকে গণতন্ত্রে বাক স্বাধীনতার গুরুত্ব মনে করাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদ মাধ্য়মের স্বাধীনতার পক্ষেও সওয়াল করল তারা। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ঘুরিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে ভারতের অবস্থানের সমালোচনাই করল মার্কিন মুলুক।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নেস প্রাইড বলেন, ‘গোটা বিশ্বে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে আমরা সমর্থন করি। একইভাবে গণতন্ত্রকে মজবুত করতে বাক স্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতার উপরও জোর দিই। গোটা বিশ্বের মতো ভারতের ক্ষেত্রেও আমাদের অবস্থান এক’। তাহলে কি তথ্যচিত্রের উপর নিষেধাজ্ঞাকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখাতে চাইছে আমেরিকা, উঠছে প্রশ্ন।
দিন কয়েক আগে অবশ্য এই ইস্যুতে ভারতের পাশে থাকার বার্তাই দিয়েছিল ওয়াশিংটন। সোমবার এ প্রসঙ্গে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, ‘যে তথ্যচিত্রের কথা বলছেন, সেটা নিয়ে বিশেষ কিছু জানা নেই। তবে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক প্রসঙ্গে অনেক কিছু জানি। দুই দেশের গণতন্ত্রে প্রচুর মিল রয়েছে। ভারতে যা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা নিয়ে সংশয় থাকলে আমরা বরাবরই প্রশ্ন করে থাকি’। এবার সেই সুর কিছুটা বদলাল বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিবিসির তথ্যচিত্র দেশে দেখানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী কার্যতই ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছেন, ওই সিরিজটি ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং এটিতে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব ও ঔপনিবেশিক মানসিকতা দৃশ্যমান। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এই সিরিজ ভারতে দেখাতে দেওয়া হবে না।