বাংলার রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল সিঙ্গুর আন্দোলন। সিঙ্গুরে টাটার বিদায়ের পথ ধরেই বাংলার মসনদে বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই মমতাকে আগেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে টাটারা। এবার শিল্প নিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিলেন, আমরা রতন টাটার বিপক্ষে ছিলাম না। শিল্প হোক আমরাও চাই। তবে তা কৃষিজমিতে নয়।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কালে নতুন মৌলিক পরিকল্পনার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ‘স্টার্ট আপ বিজনেস’ অসংখ্য যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান করছে। এমনই ১০০ জন ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগপতি তাঁদের নতুন ব্যবসার ডালি নিয়ে এসেছেন বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপোতে। বুধবার যার পর্দা উঠল বিশ্ব বাংলা মেলাপ্রাঙ্গণে। গতকাল বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপো ২০২৩-এর উদ্বোধনে হাজির ছিলেন পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শিল্প মন্ত্রী শশী পাঁজা, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে দেশের মধ্যে এক নম্বরে বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পপতিদের ঋণ দিচ্ছেন। ৯০ লক্ষ ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প বাংলায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান করেছে। অন্যদিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের আফসোস, নতুন প্রজন্ম ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে আসছে না। অন্যদিকে, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলেরা আর ব্যবসায় আসছে না। তারা পড়াশোনা করে বিদেশে গিয়ে কর্পোরেট সংস্থায় কাজ করছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘যার বুকের ছাতি চওড়া সেই ব্যবসা করতে আসে।’