‘এত ঘেউ ঘেউ করে লাভ নেই! এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, তৃণমূল! এই দলের কোনও ক্ষতি হবে না!’ নাম না করেই রিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পোষ্য এর সঙ্গে তুলনা করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। শুধু তাই নয়, আর এস এস সংঘের প্রধান মোহন ভগবতকে ধান্দাবাজ বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মদন মিত্র।
প্রসঙ্গত, দেশ নায়ক নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত হচ্ছে একাধিক অনুষ্ঠান। কিন্তু নেতাজির জন্মবার্ষিকী তেও রয়েছে রাজনৈতিক তরজা! সম্প্রতি নেতাজির জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে একাধিক মন্তব্য করে বিজেপি নেতার। আর বিজপি নেতাদের মন্তব্যের পাল্টা আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতারা।
অনুষ্ঠানের একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি নেতৃত্বরা। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষে বলেন, ‘আমাদের দেশের স্বাধীনতার মূল স্থপতি ছিলেন নেতাজি। কিন্তু পরবর্তীকালে কোনও সরকারই তাঁকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়নি। তাঁকে ব্যবহার করেছে। কিন্তু বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতাজিকে সেই মর্যাদা-সম্মান দিচ্ছেন। আর সেটা দেশের মানুষও খুব ভালো ভাবেই দেখছে’।
অন্যদিকে, শুভেন্দু বলেন, ‘এত বছর যারা দেশ চালিয়েছেন, তারা কেউই নেতাজিকে যথাযত মর্যাদা দেননি। বর্তমান সরকার তা করছে! আর এর জন্য আমরা খুবই গর্বিত। আর রইল আমাদের রাজ্য সরকার। তারা তো এখনও ঘুমাচ্ছে। সবার ঘুম ১২ টায় ভাঙলে তখন সব হবে’।
এরপরেই বিজেপি নেতাদের এই সব মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন বিরোধী নেতারা। তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের পাশাপাশি তোপ দেগেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘নেতাজি তো শ্যামাপ্রসাদকে খারিজ করেছিলেন। দেশবনধু চিত্তরঞ্জন দাশও খারিজ করেছিলেন।শ্যামাপ্রসাদ নিজেই মন্ত্রিসভায় ফজলুল হকের প্রসঙ্গে বলেছিলেন আমি হিন্দু সাম্প্রদায়িক, উনি মুসলিম সাম্প্রদায়িক। এই ধরনের কথা কি নেতাজি সমর্থন করতেন’?