তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও নেতা ধরে বা কারও বোতল কিংবা ছাতা বয়ে পঞ্চায়েতের টিকিট পাওয়া যাবে না। মানুষ যাঁদের চান না, তাঁদের প্রার্থী করবে না তৃণমূল। সেই কারণেই ‘দিদির দূত’দের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পাঠাচ্ছে দল। এ নিয়ে সন্দেহ নেই যে দিদির দূত বা দিদির সুরক্ষা কবচ— এই দুই অভিষেকের ভাবনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ছোটরাই নাম ঠিক করেছে। আসল বিষয় হল, মানুষের দরজায় যাবে তৃণমূল।
কালীঘাটের ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হচ্ছে, দিদির দূতের উদ্দেশ্য স্পষ্ট এবং এই কর্মসূচি বহুমুখী। অভিষেক বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও পরিষ্কার যে দলের একাংশের নেতা-কর্মীর আচরণে সাধারণ মানুষ খুশি নয়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষের ক্ষোভের কথা শুনতে অন্যদের সঙ্গে তাঁদেরও পাঠাচ্ছেন অভিষেক-মমতা। অর্থাৎ কারও বিরুদ্ধে রাগ, ক্ষোভ বা অভিমান থাকলে প্রথম ধাক্কাটা তাঁদেরই সামলাতে হবে।
তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের মতে, এতে দু’রকম কাজ হতে পারে। এক, মানুষ তাদের ক্ষোভের কথা একবার জানিয়ে দিতে পারলে তা আর ব্যালট বাক্স পর্যন্ত হয়তো যাবে না। অর্থাৎ তা সেফটি ভালভের কাজ করতে পারে। কারণ, ক্ষোভের কথা কাউকে জানাতে পারলে ভারমুক্ত মনে হয়। দুই, দলও স্পষ্ট বুঝতে পারবে ঠিক কাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা রাগ রয়েছে। সুতরাং পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট দেওয়ার আগে তা বিবেচনা করে দেখার সুযোগ মিলবে। মানে, প্রার্থী বাছাইয়ের আগে ছাঁকনির কাজটাই করবে দিদির দূত।