এবার বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে পাল্টা কটাক্ষে বিঁধলেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বললেন, “আমার মনে হয়, বিজেপিতে কারও কারও মন রেখে চলার চেষ্টা করছেন।” পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিলেন, “মিঠুনদার আমার নিবিড় যোগাযোগ ছিল। সেগুলি কি এবং কেন, সকলের সামনে জানিয়ে দেব।” নতুন বছর শুরুতে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল দেবের ‘প্রজাপতি’। এই ছবির জন্য ডব্লিউবিএফজিএ অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতা (পপুলার) ক্যাটেগরিতে পুরস্কার জিতেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এটা ব্লকবাস্টার নয়, ইতিহাস। ব্লকবাস্টার অনেক ছবি হয়, ইতিহাস কম ছবি হয়। ছবিটা মেরিটের জন্য হিট করেছে। তবে তৃণমূলের একটু তাড়াতাড়ি হিট করিয়ে দিল।” এরপরই নাম না করে কুণাল ঘোষকে খোঁচা দেন তিনি। “এলি,তেলি, গঙ্গারামদের কথা শুনি না। মুখপাত্র নন, মূর্খপাত্র”, বলেন মিঠুন।
এরপর মিঠুনকে পাল্টা নিশানা তৃণমূল মুখপাত্র জানান, “বোঝাই যাচ্ছে, ভিতরে কতটা রাগ থাকলে, উষ্মা থাকলে এ ধরণের কথা বলেন। কারণ, তিনি অন্যায় কাজ করেছেন, আমি সরাসরি তাঁর মুখোশটি খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সেকারণেই তাঁর রাগ’। তাঁর দাবি, ‘এই গঙ্গারামকে দিয়ে যখন প্রণব মুখোপাধ্যায়কে বলিয়ে পদ্মশ্রীর সুপারিশ করেন, তখন গঙ্গারাম মনে থাকে না। এই গঙ্গারামের সঙ্গে ২০১১ সালে মমতাদি ক্ষমতায় আসার পর, রাইটার্সে গিয়ে মমতা আমায় ক্ষমা করে দাও! কে বলেছিল? মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিল।” পাশাপাশি, চিটফাণ্ডের প্রসঙ্গও তোলেন কুণাল। “সারদা থেকে পাওয়া টাকাটা ইডিকে কেন ফেরত দিল? যতদিন রাজ্য সরকারের হাতে তদন্ত ছিল। শ্যামল সেন কমিশন টাকা উদ্ধার করছিল, রাজীব কুমারের হাতে তদন্ত ছিল। ততদিন মিঠুন চক্রবর্তীর কেন মনে হয়নি, টাকা ফেরত দেওয়ার কথা। যখন সিবিআই এল, ইডি এল, তখন মনে হল বিজেপির জুতো পালিস করতে যাওয়া দরকার। বড়মাপের অভিনেতা, পর্দাতেও, পর্দার বাইরেও”, প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতা।