কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে ২০২২ সালের সেরা একাদশ বেছে নিল আইসিসি। সেই দলে ভারত থেকে সুযোগ পেলেন তিন জন। তাঁরা হলেন বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া। বিরাটকে তিনে এবং সূর্যকে চারে রাখা হয়েছে। আর হার্দিক খেলবেন অলরাউন্ডার হিসাবে। তিনি ব্যাট করতে নামবেন ছয়ে। অর্থাৎ তিন ভারতীয় ক্রিকেটারই জাতীয় দলের হয়ে যে পজিশনে খেলেন, আইসিসি-র সেরা একাদশেও তাঁদের রাখা হয়েছে একই পজিশনে। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধরা থেকে গিয়েছে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে রোহিতদের। তবে পুরনো ছন্দে দেখা গিয়েছে বিরাটকে। এশিয়া কাপেই ছন্দে ফিরেছিলেন তিনি। ২৭৬ রান করেছিলেন পাঁচটি ম্যাচে। খরা কাটে শতরানেরও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলে দলকে খাদের কিনারা থেকে জেতান। ২৯৬ রান করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হন।
পাশাপাশি, সূর্যকুমারের কাছে গত বছরটা কেটেছে স্বপ্নের মতোই। টি-টোয়েন্টিতে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন। মোট ১১৬৪ রান করেছেন। দু’টি শতরান এবং ন’টি অর্ধশতরান রয়েছে। স্ট্রাইক রেটও প্রায় দুশোর কাছাকাছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৩৯ রান করেছিলেন তিনি। হার্দিককেও পাওয়া গিয়েছে সাবলীল ছন্দে। ব্যাট এবং বল, দু’টিতেই ভাল পারফর্ম করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে গত বছর ৬০৭ রান এবং ২০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট যখন এক দিকে চালিয়ে খেলছিলেন, অন্য দিকটা ধরে রেখেছিলেন হার্দিকই। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৩ বলে তাঁর ৬৩ রানের ইনিংস ভারতকে ১৬০-এর গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে। উল্লেখ্য, আইসিসি-র বর্ষসেরা দলে অধিনায়ক এবং উইকেটকিপার করা হয়েছে জস বাটলারকে। তিনি ওপেন করবেন মহম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে। এর পর বিরাট এবং সূর্য রয়েছেন। পাঁচে রয়েছেন গ্লেন ফিলিপস। ছয়ে রয়েছেন জিম্বাবোয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। সাতে নামবেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। স্যাম কারেন, ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ, হ্যারিস রউফ এবং আয়ারল্যান্ডের জশ লিটলকে রাখা হয়েছে চার বোলার হিসেবে।