তৃণমূল আমলে রাজ্যের প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামের ঘরে ঘরেই পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ এবং জল। তবে ব্যতিক্রম ছিল হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক এবং সাউতানচক গ্রাম। স্বাধীনতার পর থেকে এতদিন সেখানে পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ। জনসংযোগ সারতে গিয়েই বাসিন্দাদের এই দুর্দশার কথা কানে গিয়েছিল তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। যেমন কথা, তেমন কাজ। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর প্রথমবার বিদ্যুতের আলোয় ঝলমল করে উঠল হলদিয়ার সেই দুই গ্রাম। সোমবার বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসের আবহে গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ ঘটালেন কুণাল নিজেই। এর আগে ১ জানুয়ারি বিষ্ণুরামচকে দু’টি ঘরে আলো জ্বালিয়েছেন কুণাল। মাত্র ২৭ দিনে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল সেই বিদ্যুৎ। আর সোমবার সাউতানচক এবং বিষ্ণুরামচকের ৫০০ ঘরে পৌঁছে দিলেন বহু কাঙ্খিত আলো। সেই সঙ্গে নন্দীগ্রামের ভার্জিন মৌজার দশটি ঘরেও তৃণমূল রাজ্য সম্পাদকের হাতে বিদ্যুৎ সংযোগ ঘটল।
কুণাল জানান, ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ চালু হল। সোমবার, ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনে হলদিয়ার বিষ্ণুরামচক ও সৌতনচক গ্রামে বাড়ি বাড়ি বিদ্যুতের আলো জ্বলল। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এল বিদ্যুৎ। গ্রামে ঘুরলাম। উৎসবের পরিবেশ। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস শিলিগুড়ি থেকে ফোনে ভাষণ দিলেন। পরের মাসে তিনি এখানে আসবেন। বহু বাড়িতে গেলাম। হইহই কাণ্ড। গত পুরভোটে বিজেপির প্রার্থী জয়ন্তী মল্লিকের বাড়িতেও গেলাম। সেই দিদিও উচ্ছ্বসিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘হলদিয়ার বিষ্ণুরামচক এবং সাউতানচক গ্রাম দু’টিতে এতদিন কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনেকে। বামেরা চৌত্রিশ বছরে পারেনি। শুভেন্দু অধিকারী ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে বিদ্যুতের নামে মিথ্যাচার করেছে। এখন বিদ্যুৎ দিতে গিয়ে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের বাধা ছিল। কিন্তু আধিকারিকদের একাংশের সদিচ্ছা এই উদ্যোগের পিছনে ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষের পাশে উন্নয়নের ডালি নিয়ে রয়েছে। মানুষের পাশে আছে বলেই বিদ্যুৎহীন গ্রামে বিদ্যুৎ দিয়েছে।’