ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় রেলে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা তুলে দিয়েছে মোদী সরকার। শুধুমাত্র রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে উঠেছিল বিতর্কের ঝড়। ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে এখনও ৭১ দিন বাকি। তার আগেই রেলের আয় গত বছরের তুলনায় ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়েছে। শুক্রবার এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ফলত স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি হলেও ট্রেনের টিকিটে কোভিড-পূর্ব সময়ের মতো কনসেশন কেন ফেরাবে না রেল বোর্ড? এই প্রশ্নে প্রত্যাশিতভাবেই নির্বিকার রেলমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।
পাশাপাশি, রেল বোর্ড জানিয়েছে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে রেলের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার অন্তত দু’মাস আগেই রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৯১ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এরই মধ্যে রেলের আয় বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। যদিও রাজস্ব আদায় বাড়লেও এখনই ট্রেনের টিকিটে কনসেশন ফেরানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এ কথা জানানো হয়েছে রেল বোর্ড সূত্রেই। যার পর মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।