মোদী সরকারের চাপে ভারতে রিলিজ না করলেও ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্রটির আনুষ্ঠানিক রিলিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরছে না বিবিসি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিবিসি-টু চ্যানেলে ব্রিটেনবাসী আগামী ২৪ জানুয়ারি তথ্যচিত্রটি দেখতে পাবেন। বিবিসি’র ওই তথ্যচিত্রে ভারতে মুসলিমদের অবস্থা, গুজরাত দাঙ্গার সময় রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীর ভূমিকা, ইত্যাদি বিষয় রয়েছে। মোদী সরকার ওই তথ্যচিত্রের বিষয় বস্তু নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলে বলেছে, ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি ওই তথ্যচিত্রে ঔপনিবেশিক মানসিকতাই প্রকাশ পেয়েছে।
সমালোচনার জবাবে বিবিসি জানিয়েছে, তারা সাংবাদিকতার সর্বোত্তম উপায় অবলম্বন করে ওই তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছে। এর পিছনে আছে দীর্ঘ গবেষণা। তারা তিনটি তথ্যও তুলে ধরেছে জবাবে। এক. তথ্যচিত্রে তুলে ধরা প্রশ্নগুলির বিষয়ে ভারত সরকারের জবাব চাওয়া হয়েছিল। তারা জবাব দেয়নি। দুই. ৩০জন ভারতীয় বিবিসি’র ক্যামেরার সামনে এই ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি ভয়ে। তিন, তথ্যচিত্রটি নির্মাণের সঙ্গে সংস্থার ভারতে কর্মরত সাংবাদিকেরা কেউ যুক্ত ছিলেন না।
সূত্রের খবর, তথ্যচিত্রটিতে নতুন তথ্য তেমন কিছু নেই। অজানা তথ্য হল, গুজরাত দাঙ্গার সময়ে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের উদ্বেগ এবং তৎপরতা। তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি টিম গঠন করে গুজরাত দাঙ্গার বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করেন। তথ্যচিত্রটিকে দাঙ্গার সময়ে ভারতে কর্মরত ব্রিটিশ সাংবাদিককে দেওয়া মোদীর সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ দেখানো হয়েছে। মোদী তখন বলেছেন, দাঙ্গা বিধ্বস্ত এলাকায় সংবাদমাধ্যমে অবাধে যেতে পেরেছে। এটাই কি ভুল ছিল?