রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার অর্থ নিতে যাতে স্বচ্ছতা বজায় রাখে সেজন্যই ‘নির্বাচনী বন্ড’ ব্যবস্থা চালু করা হয়। ২০১৭ সালে মোদী সরকারের আমলেই এই ব্যবস্থা চালু হয়৷ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে বন্ড সংক্রান্ত যে হিসাব জমা দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি তা থেকে তথ্য উঠে এসেছে যে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিক্রি হওয়া নির্বাচনী বন্ডের টাকা মূলত গিয়েছে বিজেপির তহবিলে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে কংগ্রেস ও তৃণমূল থাকলেও বিজেপির তুলনায় তাদের প্রাপ্ত অনুদান একেবারেই কম।
২০২২ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেওয়া হিসাব অনুযায়ী নির্বাচনী বন্ডের থেকে গেরুয়া শিবিরের আয় হয়েছে ১,০৩৩ কোটি টাকা। ২০২১, ২০২০, ২০১৯ সালে আয় হয়েছে যথাক্রমে ২,২৩৮ কোটি, ২,৫৫৫ কোটি এবং ১৪৫ কোটি টাকা। এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ২০১৮ সালে বিজেপির আয় হয়েছে ২১০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আয় হয়েছে ৫,২৭০ কোটি টাকা। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৯,২০৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে। তার মধ্যে ৫৭ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের তহবিলে।
বছরে চারবার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয় জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই এবং অক্টোবরে। সরকারের নোটিশ দেওয়ার পর ১০ দিন সময় থাকে বন্ড কেনার। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমেই এই বন্ড বিক্রি হয়। যদিও রাজনৈতিক দলগুলি দেশের ১০টি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এর টাকা তুলতে পারে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতে হলে সাধারণ নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলকে অন্তত ১ শতাংশ ভোট পেতে হয়।