কোনও পণ্য কবে তৈরি হয়েছে, কী কী উপাদান দিয়ে বানানো হয়েছে, এবং তার দামই বা কত, এসবই পণ্যের গায়ে লেখা থাকে। তবে অত্যন্ত ক্ষুদ্র অক্ষরে। যার ফলে অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয় ক্রেতাদের। আর তাই এ নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। অবিলম্বে আরও বড় করে এমআরপি, ম্যানুফ্যাকচারিং তারিখ লেখার নির্দেশ দিয়েছে কনজিউমার ফোরাম। এই মর্মে প্রতিটি পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থাকে চিঠি দিচ্ছে উপভোক্তা বিষয়ক দফতর। বৃহস্পতিবার দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র জানিয়েছেন, কেউ জিনিসের দাম এত ছোট করে লেখে যে, মাইক্রোস্কোপ দিয়েও দেখা যায় না। দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই বিষয়টা আমার নজরে এসেছে। কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থাকে চিঠি ধরানো হচ্ছে। তারপরও যারা বড় হরফে লিখবে না, তাদের নোটিস ধরানো হবে।
সূত্রের খবর, পণ্য তৈরিতে কী উপাদান ব্যবহার হয়েছে, অর্থাৎ ‘ইনগ্রেডিয়েন্টস’ এতদিন লেখা হত ২ মিলিমিটার জায়গা নিয়ে। সাধারণত ২০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের কোনও পণ্যের প্যাকেটে ২ মিলিমিটার জায়গায় লেখা থাকত। আর ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের প্যাকেটে ৪ মিলিমিটার জায়গা নিয়ে লেখা হত। সেটাকেই দ্বিগুণ করতে চাইছে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। পণ্যের ওজন ৫০০ গ্রামের উপরে হলে ‘ইনগ্রেডিয়েন্টস’ লিখতে হবে ৮ মিলিমিটার জায়গা নিয়ে। শুধু তাই নয়, এবার থেকে পণ্যের গায়ে ‘এমআরপি’-ও লিখতে হবে বড় হরফে। এতদিন ১ মিলিমিটারের চেয়েও ছোট জায়গা নিয়ে ‘এমআরপি’ লিখত অনেক পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পণ্যের ওজন ২০০ গ্রাম হলে প্যাকেটের আকার অনুযায়ী ন্যূনতম ১.৫ মিলিমিটার জায়গা নিয়ে ‘এমআরপি’ লিখতে হবে প্যাকেটের গায়ে।