একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা দিল্লী দিচ্ছে না। বারবার বলা সত্ত্বেও গরিব মানুষের মজুরির টাকা আটকে রেখেছে। আর স্রেফ রাজনৈতিক কারণে কখনও এ-টিম, কখনও বি-টিম, কখনও সি-টিম পাঠাচ্ছে। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে এবার একশো দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে মেদিনীপুরের পিংলার খড়গপুর দুই নম্বর ব্লকের জনার্দ্দনপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে। আবাস যোজনায় বঞ্চিতদের তালিকা হাতে করে এলাকায় গিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে আসা কেন্দ্রীয় সরকারের দুই প্রতিনিধি। তাঁদের হাতের কাছে পেয়ে একশো দিনের টাকা কবে পাওয়া যাবে তা জানতে চেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় জনতা। বিক্ষোভকারীদের সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের।
গত মঙ্গলবার সন্ধেয় পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় গনগনি গেস্ট হাউসে চলে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। বুধবার তাঁরা জনার্দ্দনপুরে। আর সেখানে গিয়েই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। তাঁদের কাছে একশো দিনের টাকা কবে পাওয়া যাবে তা জানতে চান তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে বের করে আনা হয় প্রতিনিধিদলকে। বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘বিজেপির তালিকা ধরে ধরে তা যাচাই করতে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। লছমাপুরে যে অভিযোগের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাদের ৯৯ শতাংশই পাকাবাড়ির মালিক। কেন্দ্রের গাইডলাইন অনুযায়ী তারা কোনওভাবেই বাড়ি পাওয়ার যোগ্য নন। ওই তালিকায় আবার বিজেপির আইটি সেলের এক নেতার আত্মীয়েরও নাম আছে। প্রতিনিধিদলকে প্রধান সেটা বোঝানোর পর তাঁরাও তা বুঝেছেন।’