‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ স্লোগান দিয়ে ২০১৪-র লোকসভা ভোটে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁরই দলের হাতে থাকা কর্নাটক সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাজ শেষে বিল আদায় করতে একশো টাকা পিছু ৪০ টাকা ঘুষ দিতে হয় মন্ত্রীকে।
নিছক হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া অভিযোগ নয়, সুইসাইড নোটে এমনই অভিযোগ করে আত্মহত্যা করেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সরকারি ঠিকাদার সন্তোষ পাতিল। মন্ত্রীকে ঘুষ না দিলে কাজ করেও মাসের পর মাস বিল পাশ হয় না, নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে এমন গুরুতর অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস ইয়েদুরাপ্পাকে চিঠি লিখেছিলেন সেই ঠিকাদার। গ্রামোন্নয়ন দফতরে কাজ বাবদ প্রাপ্য চার কোটি টাকা আদায় করতে পারছেন না বলে অভিযোগপত্রে লেখেন।
গত বছর এপ্রিলের সেই আত্মহত্যার ঘটনার নেপথ্য কাহিনি জানাজানি হতে উত্তাল হয় বিজেপির হাতে থাকা দক্ষিণের এই একমাত্র রাজ্যটি। অভিযুক্ত গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাকে পদত্যাগ করিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় রাজ্য সরকার এবং গেরুয়া শিবির। কিন্তু ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মন্ত্রীকে ক্লিনচিট দিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
আর তারপরই দুর্নীতির সেই বিস্ফোরক অভিযোগ এবং ঠিকাদারের আত্মহত্যার ঘটনা ঘিরে নতুন সংকটে পড়েছে রাজ্য সরকার ও গেরুয়া শিবির। আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তখনই পথে নেমেছিল সরকারি ঠিকাদারদের একাধিক সংগঠন। সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়, কর্নাটকে নেতা-মন্ত্রী-আমলাদের ঘুষ না দিয়ে কাজের বরাত, বিল কিছুই আদায় করা যায় না। তারা আরও অভিযোগ করে, কংগ্রেস আমলেও এই সমস্যা ছিল। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর তা মাত্রা ছাড়িয়েছে।