সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সহযাত্রীর গায়ে মত্ত অবস্থায় প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক ব্যক্তি। তিনি এখনও জামিন পাননি। মামলা চলছে আদালতে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে দিল্লি বিমানবন্দরের মধ্যেই এক যাত্রী প্রকাশ্যে প্রস্রাব করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। আর এবার ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের জরুরি দরজা খুলে ফেললেন এক যাত্রী। ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গেল চেন্নাই বিমানবন্দরে। দেরি করে হলেও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন’। যদিও ওই ঘটনায় নতুন বিতর্ক দানা বেধেছে। কারণ একটি সূত্রের দাবি, বিমানের দরজা যে যাত্রী খুলে ফেলেন তিনি আর কেউ নন বেঙ্গালুরু দক্ষিণের বিজেপি সাংসদ তথা গেরুয়া দিলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি তেজস্বী সূর্য। এই ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
ঘটনাটি গত ১০ ডিসেম্বরের। চেন্নাই থেকে তিরুচিরাপল্লিগামী ইন্ডিগোর ‘৬ই ৭৩৩৯’ বিমানটি তখন দাঁড়িয়ে রানওয়েতে। যাত্রীরা একে একে বিমানে উঠছেন। আচমকা ওই বিমানের দরজা খুলে ফেলেন এক যাত্রী। যদিও তখনই তিনি নিজের কাজের জন্য ক্ষমা চান। তবে বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ। এদিকে, বিমান বিভ্রাটে বিজেপি নেতা তেজস্বীর নাম জরানোর পরেই মঙ্গলবার ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনে ইন্ডিগোও। যদিও বিমান সংস্থা যাত্রীর নাম প্রকাশ্যে আনেনি। তবে ওই যাত্রী যে ক্ষমা চেয়েছেন, সেকথা উল্লেখ করা হয়েছে। তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, তেজস্বী সূর্যকে আড়াল করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এই কারণেই ঘটনাটি চেপে দেওয়া হয়। তৃণমূলের তরফে টুইট করা হয়, ‘বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্যের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় প্রাণহানি ঘটতে পারত। ১০ ডিসেম্বরে ২০২২ প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুয়ায়ী তেজস্বীই জরুরি দরজা খোলেন। যদিও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ডিসিজিএ। তাঁর দলই কি এমন কাজে ঢালাও অনুমতি দিয়েছে?’
