মেঘালয়ে নির্বাচনী প্রচারে মমতা-অভিষেক। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে গেলেন তৃণমূলের দুই শীর্ষনেতৃত্ব। এদিন উত্তর গারো পাহাড়েই তৃণমূলের সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তৃতা করেন দুজনেই। মমতা-অভিষেকের সফরের মাঝেই উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা।
সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘মেঘালয়কে স্যালুট জানাই। এর পর যখন আসব। আমি আপনাদের স্থানীয় ভাষা শিখে নেব৷ আপনারা আমাকে শিখিয়ে দেবেন। ইউটিউব দেখে আমি ততক্ষণ শিখব’। এদিন মেঘালয়ের শিল্পীদের সঙ্গে নাচের তালে পা-ও মেলাতে দেখা যায় তৃণমূলনেত্রীকে।
এরপরেই সে রাজ্যের বিজেপি সমর্থিত এনপিপি সরকারকে নিশানা করতে শুরু করেন মমতা। বলেন, ‘গত ৫ বছরে এখানে সরকার কী করেছে? আপনাদের রিপোর্ট কার্ড কোথায়? টেলিপ্রম্পটার রেডি রাখে, আর সেখান থেকে দেখে স্পিচ পড়ে৷ আর মেঘালয়ের মানুষ আমার হৃদয়ে আছে’। মমতা বলেন, ‘আমি গুয়াহাটি থেকে আসিনি৷ আমি এসেছি আলিপুরদুয়ার থেকে৷ হেলিকপ্টারে ৪৫ মিনিট লেগেছে। আসলে বাংলা হল গেটওয়ে’।
মমতা বলেন, ‘এখানে গুয়াহাটি থেকে ডিফ্যাক্টো চিফ মিনিস্টার আছে। প্রক্সি সরকার চলছে৷ এখানে অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ নেই৷ আমরা আপনাদের ভালো সরকার উপহার দেব। আমরা এখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেব’। মমতার তোপ, ‘বিজেপির দু-মুখো আচরণ দেখবেন৷ ভোটের সময় এক। ভোটের পরে এক।” মেঘালয়বাসীকে তাঁর বার্তা, ‘এখানে কোনও বহিরাগত আসবে না। এখানে ভূমিপুত্ররাই থাকবে। নিজের জমিকে ভালবাসুন’।
অঙ্কের হিসাবে মেঘালয়ে তৃণমূল এখন প্রধান বিরোধী দল। সামনের নির্বাচনে মেঘালয়ের শাসন ক্ষমতা দখল করতে কার্যত মরিয়া ঘাসফুল শিবির। মেঘালয়ের যুবসমাজকে আকৃষ্ট করতে ইতিমধ্যেই উই কার্ডের কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আনা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পও।