চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন মেঘালয়ে। সে রাজ্যে ক্রমেই চড়ছে রাজনীতির পারদ। শাসকদল বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে তৈরি তৃণমূল। আজ, বুধবার মেঘালয়ে নির্বাচনী প্রচার সারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে গেলেন তৃণমূলের দুই শীর্ষনেতৃত্ব। এদিন উত্তর গারো পাহাড়েই তৃণমূলের সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তৃতা করেন দুজনেই। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেঘালয়কে স্যালুট জানাই। এর পর যখন আসব, আপনাদের স্থানীয় ভাষা শিখে নেব৷ আপনারা আমাকে শিখিয়ে দেবেন। ইউটিউব দেখে আমি ততক্ষণ শিখব। আপনারা এখন রাজনৈতিক ভাবে ক্ষুধার্ত। জেনে রাখুন তৃণমূলের একমাত্র গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমরা লড়াই চালিয়ে যাই।”
পাশাপাশি, মেঘালয়ের বিজেপি সমর্থিত এনপিপি সরকারকেও একহাত নেন মমতা। বলেন, “গত ৫ বছরে এখানে সরকার কী করেছে? আপনাদের রিপোর্ট কার্ড কোথায়? টেলিপ্রম্পটার রেডি রাখে, আর সেখান থেকে দেখে স্পিচ পড়ে৷ আর মেঘালয়ের মানুষ আমার হৃদয়ে আছে।” প্রসঙ্গত, অঙ্কের হিসাবে মেঘালয়ে তৃণমূল এখন প্রধান বিরোধী দল। সামনের নির্বাচনে মেঘালয়ের শাসন ক্ষমতা দখল করতে কার্যত মরিয়া ঘাসফুল শিবির। মেঘালয়ের যুবসমাজকে আকৃষ্ট করতে ইতিমধ্যেই এমওয়াইই ও ডব্লিউই কার্ডের কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আনা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পও। এদিন মমতা বলেন, “আমি বাম শাসন থেকে আমার লড়াই শুরু করেছি৷ কংগ্রেস সাহায্য করেনি। আমি একাধিকবার শারীরিক ভাবে আক্রান্ত হয়েছি। যদিও আমি মাথা নীচু করিনি৷ রাজনীতি আমার পেশা নয়, রাজনীতি হল আমার প্যাশন। আমরা কৃষকদের সাহায্য করি৷ আমরা সব মানুষকে রেশন দিই৷ আমরা বিনামুল্যে চিকিৎসা দিই৷ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড অবধি আমরা দিই। আমি গৌহাটি থেকে আসিনি৷ আমি এসেছি আলিপুরদুয়ার থেকে৷ হেলিকপ্টারে ৪৫ মিনিট লেগেছে। আসলে বাংলা হল গেটওয়ে।”
তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, “এখানে গুয়াহাটি থেকে ডিফ্যাক্টো চিফ মিনিস্টার আছে। প্রক্সি সরকার চলছে৷ এখানে অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ নেই৷ আমরা আপনাদের ভালো সরকার উপহার দেব। আমরা এখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেব।” উল্লেখ্য, আগামী ১৬ এবং ২৭শে ফেব্রুয়ারি – দু’ দফায় ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে নির্বাচন হবে ২৭শে ফেব্রুয়ারি। এদিন উত্তর পূর্বের তিন রাজ্যে ভোটের দিন ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তিন রাজ্যেই ৬০টি করে বিধানসভা আসন রয়েছে। তিন রাজ্যে আগামী ২রা মার্চ প্রকাশিত হবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল।