ফের বিপাকে পড়ল পদ্মশিবির। এবার কম্বল বিতরণ কাণ্ডে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনল পুলিশ। সরকারি আইনজীবীর অনুপস্থিতিতেই বুধবার আদালতে সওয়াল করলেন আসানসোল উত্তর থানার তদন্তকারী অফিসারেরা। হাইকোর্টের রক্ষাকবচ বহাল থাকলেও আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে এদিন নিম্ন আদালতে দ্বারস্থ হন জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি। আসানসোল কর্পোরেশনের বিরোধী দলনেত্রী তিনি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আসানসোলে শীতবস্ত্র বিতরণের এক অনুষ্ঠানে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। অভিযোগ ওঠে, ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল পুলিশের অনুমতি ছাড়াই। স্বল্প পরিসরে বিপুল ভিড়ের কারণেই ওই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের অভিমত। ওই ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে। তা নিয়ে চলছে মামলাও। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচও পান চৈতালি।
প্রসঙ্গত, উক্ত মামলায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ অনুযায়ী চৈতালির বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে। পরবর্তী শুনানিতে পুলিশকে আদালতে কেস ডায়েরি নিয়ে হাজির হতে হবে। আদালতের আরও নির্দেশ, পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করতে হবে। তবে তদন্ত চললেও চৈতালিকে গ্রেফতার করা যাবে না। আসানসোলে কম্বল বিতরণের ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেওয়ার পরে অল্প কয়েকজনকে কম্বল বিতরণ করে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান। আসানসোল শহরেই তাঁর অন্য কর্মসূচী ছিল। তিনি সভাস্থল ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই কম্বল নেওয়া নিয়ে চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। যার জেরে এক নাবালিকা সহ তিন জন পদপিষ্ট হন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিন জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গোটা ঘটনার জন্য অভিযোগের আঙুল ওঠে উদ্যোক্তা সংস্থার তরফে চৈতালি-সহ আরও কয়েকজন বিজেপি নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে। যা ঘিরে তোলপাড় হয় বাংলার রাজনৈতিক মহল।