সর্বদলীয় বৈঠকে ‘রিমোট ভোটিং’-এর বিরোধিতা আগেই করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ‘রিমোট ভোটিং’ নিয়ে কমিশনের কাছে সরাসরি চিঠি পাঠালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পাঠানো সেই চিঠিতে অভিষেক লিখেছেন, তাঁর দল সম্প্রতি কমিশনের পাঠানো চিঠি পেয়েছে। সেখানে কমিশন ‘রিমোট ভোটিং’কে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে তাদের মতামত জানতে চেয়েছে। কিন্তু, অভিষেকের বক্তব্য, এতে ভোটারদের ভোটে অংশগ্রহণের হার সার্বিক ভাবে বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিবহুল। তাই এত দ্রুত ‘রিমোট ভোটিং’ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া কমিশনের উচিত নয় বলেই মনে করে তাঁর দল।
প্রসঙ্গত, কাজের কারণে বহু বাঙালিই ভিনরাজ্যে থাকেন। রয়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিকও। রাজ্যে ভোট হলে, অনেকে ভোটারই ছুটি পান না বলে রাজ্যে এসে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। তাছাড়া, ভোট দিতে একদিনের জন্য বাড়ি ফেরার হুজ্জুতি পোহাতে চান না অনেকে। সেক্ষেত্রে, কমিশন মনে করছে, ‘রিমোট ভোটিং’ ব্যবস্থা চালু হলে, ভিনরাজ্যে থেকেও ভোট দিতে পারবেন যে কোনও ভোটার।
কিন্তু, এমন ব্যবস্থা চালু হলে ভোট কারচুপির সমূহ সম্ভাবনা থাকবে বলে মনে করছে একাধিক রাজনৈতিক দল। কমিশনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে ‘রিমোট ভোটিং’ ব্যবস্থার বিরোধিতাও করেছে তৃণমূল। তারপরেই, অভিষেকের চিঠি। চিঠিতে অভিষেক লিখেছেন, ‘রিমোট ভোটিং’ ব্যবস্থায় যে রাজ্যে বসে কোনও ভোটার ভোট দেবেন, হতেই পারে সেখানকার শাসকদল গোটা প্রক্রিয়ায় নিজের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করল। নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি সে রাজ্যে তো আর চালু থাকবে না! সুতরাং, ভোটদান স্বচ্ছ হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। অভিষেকের আশঙ্কা, এতে ইভিএম কারচুপিরও সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
সবশেষে, কমিশনের কাছে অভিষেকের আর্জি, কার্যক্ষেত্রে সামান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য এমন কোনও পদক্ষেপ করাই উচিত নয়, যাতে কোনও ভাবে গণতন্ত্র, সাধারণ নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার কোনও ভাবে লঙ্ঘিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।