ফের বিতর্কের কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সাধের প্রমোদতরী ‘গঙ্গাবিলাস’। কদিন আগেই মহাসমারোহে এর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শুরুর তৃতীয় দিনেই সৃষ্টি হল বিড়ম্বনার। মাঝগঙ্গায় আটকে গেল এই ক্রুজ। যার জেরে প্রমোদতরী থেকে বেশ খানিকটা পথ নৌকায় যেতে হল যাত্রীদের। গত ১৩ই জানুয়ারি বিলাসবহুল গঙ্গাবিলাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বারাণসী থেকে ৫১ দিনের যাত্রা শুরু করে ক্রুজটি। ২৭টি নদী পেরিয়ে যার গন্তব্য ডিব্রুগড়। পথে যাত্রীরা দেখে নিতে পারবেন অন্তত ৫০টি পর্যটনস্থল। এই বিলাসবহুল ব্যবস্থার জন্য প্রতিরাতে যাত্রীদের খরচ ৫০ হাজার। কিন্তু এত অর্থ খরচ করে প্রমোদতরীতে বসেই বিভ্রাটের মুখে যাত্রীরা। সোমবার প্রশাসনের জানা গিয়েছে, বিহারের চিরান্দ প্রত্নক্ষেত্রে যাত্রীদের নামানোর জন্য গঙ্গার তীর বরাবর এগিয়ে আসছিল গঙ্গাবিলাস। তখনই ডোরিগঞ্জ এলাকার কাছে হঠাৎ গঙ্গার পলির মধ্যে আটকে যায় ক্রুজটি। ফলে গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না। সেই সময় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ছোট নৌকা আসে। তাতেই যাত্রীদের চিরান্দ পৌঁছে দেওয়া হয়।
এপ্রসঙ্গে ছাপড়া জেলা প্রশাসনের সতেন্দ্র সিং জানান, চিরান্দ ঘুরতে যাতে পর্যটকদের কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনওরকম অপ্রীতিকর অবস্থা এড়ানোর জন্য ঘাটে মোতায়েন রয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল। গঙ্গাবিলাস আটকে যাওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, গঙ্গার ওই অংশে জল কম থাকার জন্য প্রমোদতরীটি কূলে পৌঁছতে গিয়ে আটকে যায়। তবে ছোট নৌকা বা বোটে যাত্রীদের নিরাপদে চিরান্দ পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। গঙ্গাবিলাসের বৈশিষ্ট্য হল, এটি জোয়ারের সময় ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে এবং ভাটায় ২০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। তবে পলিতে আটকে গিয়ে এহেন বিভ্রাটের ঘটনা একাধিক প্রশ্ন তুলে দিল। প্রশ্ন উঠছে, অনেক জায়গাতেই তো জলের পরিমাণ কম থাকতে পারে। তবে কি বারবার একই ঘটনা ঘটবে? ইতিমধ্যেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।