আচমকাই তোলপাড় শুরু রাজনৈতিক মহলে। এবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। বিগত উরি ও পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পিছনে নাকি হাত ছিল ভারত সরকারের! এমনই দাবি করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের বর্ষীয়ান নেতা শেখ মুস্তাফা কামাল। তাঁর অভিযোগ, এই হামলায় মৃতদের দেহ বা ছবি কোনওটাই প্রকাশ্যে আসেনি। তাছাড়া, যারা শহিদ হয়েছিলেন তাঁরা অধিকাংশ তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে তুঙ্গে শোরগোল। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুক আবদুল্লার দলের নেতা শেখ মুস্তাফা কামাল এহেন অভিযোগ করেন। “হামলার ষড়যন্ত্র ছিল ভারত সরকারের, এটা প্রায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা কোনও মৃতদেহের ছবি দেখিনি। যতক্ষণ না এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে কে বা কারা হত্যাকারী ততক্ষণ অভিযোগের সমস্ত আঙুল সরকারের গোয়েন্দা এজেন্সিগুলির দিকেই উঠবে”, দাবি তাঁর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় পুলওয়ামায় শহিদ হন চল্লিশেরও বেশি ভারতীয় সিআরপিএফ জওয়ান। যদিও সেই হামলার দায় কোনওদিনও স্বীকার করেনি পাকিস্তান। এদিন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা শেখ মুস্তাফা কামাল আরও বলেন, “আমরা মৃতদেহের ছবি দেখিনি, তবে এটা স্পষ্ট যে ৩০-৪০ জন জওয়ান তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত।” স্বাভাবিকভাবেই পুলওয়ামা ও উরির মতো দুটি নৃশংস জেহাদি হামলায় দেশের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তোলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রবল চাঞ্চল্য। ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ উরি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় সীমান্তপার থেকে আসা জঙ্গিরা৷ ওই হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ১৯ সেনা জওয়ান৷ তার দুদিন পর সীমান্তে সেনার হাতে গ্রেফতার হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দুই বাসিন্দা ফয়জল হুসেন ও এহসান খুরশিদ৷ এবার উরি, পুলওয়ামা – এই দুই হামলা নিয়ে মোদী সরকারের দিকে আঙুল তুললেন কাশ্মীরের প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুস্তাফা। স্বভাবতই এর ফলে খানিক বিপাকে শাসকদল বিজেপি।