গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের পর পরই দিল্লীর বঙ্গভবন থেকে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। যা নিয়ে আগেই সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে ফের এ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। সাকেতের নাম না নিলেও বঙ্গভবনে গুজরাত পুলিশের হানার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন , বঙ্গভবন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘প্রপার্টি’। সেখানে এভাবে অনুমতি ছাড়া কেউ ঢুকল কীভাবে?
সাগরদিঘির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, অনুমতি ছাড়া সেখানে কেউ গেলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেআইনিভাবে গুজরাট পুলিশ গুজরাত থেকে এসে দিল্লী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবন থেকে সব ক্যামেরা তুলে নিয়ে গিয়েছে বলেও এদিন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বঙ্গভবনে রাজ্যপাল, বিচারপতিরা থাকেন। এভাবে ক্যামেরা খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয় কতটা সুরক্ষিত থাকছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বুলডোজার চালালে ক্লোজার হবে বলে এদিন কেন্দ্রকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন মমতা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন সমাজকর্মী, তাঁকে বঙ্গভবন থেকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুজরাত থেকে এসে গ্রেফতার করেছে। সে রাজস্থান বিমানবন্দরে যাচ্ছিল, সেখান থেকে আহমেদাবাদ গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে। আদালত যখন জামিন দিয়েছে, আবার তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে আমি শুনলাম বঙ্গভবন থেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি আমার মুখ্যসচিবকে বলব, বঙ্গভবন আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রপার্টি। অনুমতি ছাড়া গেলে আমাদেরও আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘চালাকি চলছে। তুমি আমাকে বলতে পারো, তোমার বাড়িতে এসে আমি বাসনপত্র দেখব। তুমি আবেদন করতেই পার। কিন্তু আমি তাতে অনুমতি দিলাম না। গত পরশু রাতে বেআইনিভাবে গুজরাত পুলিশ গুজরাত থেকে এসে দিল্লী পুলিশকে নিয়ে বঙ্গভবনে গিয়ে সব সিসিটিভির ক্যামেরা খুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। মনে রাখবেন সেখানে রাজ্যপাল থাকেন। প্রধান বিচারপতি গিয়ে থাকেন। বিচারপতিরা থাকেন। সংবাদমাধ্যম যায়। তাঁরা কার সঙ্গে কথা বলছে, কোন বন্ধুর সঙ্গে, সবটাই তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। এ অধিকার কে দিল? এই ঔদ্ধত্য কে দিল? মনে রাখবেন আমি বুলডোজারের পক্ষে নই। তবে গণতন্ত্রে যারা বুলডোজার চালায়, তাদের ক্লোজার হবে।’