বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়াতে বরাবরই পটু বিজেপি নেতারা। এবার সেই তালিকায় যোগ হল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম। ‘দিদির দূত’দের ঘরে বেঁধে রাখার নিদান দিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এ রকম কর্মসূচি করে ‘মিথ্যাচার’ করছে তৃণমূল। সাংসদের এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রবিবার হুগলীর জিরাটের সভায় লকেট বলেন, ‘‘দিদির দূত আসছে। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত এই দূতেরা। তাঁরা আবার গিয়ে মানুষের অসুবিধা দেখছেন! অসুবিধার কারণ তো ওঁরাই। এঁরাই চোর-ছ্যাঁচড়।’’
পাশাপাশি, লকেট বলেন, ‘‘তাঁরা (তৃণমূল নেতৃত্ব) আবার চড়-থাপ্পড়ও মারছেন! কিন্তু চড়-থাপ্পড় মারলে আপনারা ছেড়ে দেবেন না।’’ এর পর মঞ্চের সামনে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে লকেটের মন্তব্য, ‘‘ওঁদের চড়-থাপ্পড়ের দরকার আছে। মানুষের কোটি কোটি টাকা লুট করবেন, আবার চড়ও মারবেন, হয় না। যদি অভিযোগ শুনতে না চান (দিদির দূত), তাঁদের ঘরে বেঁধে বসিয়ে রেখে অভিযোগ শোনান। তাঁদের সরকার, তাঁদের পঞ্চায়েত। তাঁরা কেন মানুষের কাজ করবেন না?’’
স্বাভাবিকভাবেই লকেটের এহেন মন্তব্যের পর তোলপাড় হুগলীর রাজনৈতিক মহল। এই প্রেক্ষিতে লকেটকে কটাক্ষ করেছেন গত বিধানসভা ভোটে তাঁকে হারানো তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। লকেটকে ‘দিলীপ ঘোষের যোগ্য শিষ্যা’ বলে বিঁধেছেন তিনি। প্রায় ১৪ হাজার ভোটে লকেটকে হারানো অসিত সংবাদমাধ্যমকে বলেন,‘‘লকেটদেবী দিলীপ ঘোষের (বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি) ভাষায় কথা বলছেন। দিলীপ যেমন কথায় কথায়, ভেঙে দেওয়া, মেরে ফেলার নিদান দেন, লকেটদেবীও সেই পথে হাঁটছেন। আসলে এটাই বিজেপির সংস্কৃতি।’’ এখানেই থেমে থাকেননি অসিত। ‘‘আসলে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’, ‘দিদির দূত’-এর মতো কর্মসূচি দেখে ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই এ রকম কুমন্তব্য করছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়রা’’, কটাক্ষ অসিতের।