বরাবরই গভীর জনসংযোগে আস্থা রেখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মা-মাটি-মানুষের নেত্রী তিনি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বারবার মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছেন তিনি। শুনেছেন তাঁদের মনের কথা। একাত্ম হয়েছেন। তৃণমূলের তারকা সাংসদ, বিধায়করাও মূলত জনতার কাছের মানুষ। শনিবার অন্তত তেমনটাই বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়। কলকাতার স্ট্রিট ফুডের জন্য বিখ্যাত ডেকার্স লেনে ফুটপাথে বসেই খাওয়াদাওয়া সারলেন তিনি। সঙ্গী দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, রোজের মতো শনিবারও ব্যস্ততা ছিল অফিসপাড়ায়। দুপুরবেলা মধ্যাহ্নভোজ সারতে ডেকার্স লেনের প্রতিটি দোকানে জমেছিল ভিড়। দম ফেলার ফুরসৎ নেই ব্যবসায়ীদের। তারই মধ্যে আচমকা ডেকার্স লেনের বেশ নামী দোকান ‘ক্লাসিক ফাস্ট ফুড সেন্টার’-এ এসে দাঁড়ালেন শতাব্দী রায়, সঙ্গী কুণাল ঘোষ। দেখে প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না ‘ক্লাসিক ফাস্ট ফুড সেন্টার’-এর মালিকের। সাংসদ জানালেন, তিনি খেতেই এসেছেন। ফুটপাথে একটি চেয়ার নিয়ে বসে খেলেন ক্লাসিকের বিখ্যাত বাসন্তী পোলাও, লেমন ফিশ। তাঁর সঙ্গে ফুটপাথে বসে খাওয়াদাওয়া সারলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তাঁর প্লেটেও একই খাবার। ততক্ষণে ডেকার্স লেনে রোজ খেতে যাওয়া মানুষজন ভিড় জমিয়েছেন তারকাকে দেখতে। শান্তিনিকেতনী স্টাইলের কুর্তা-পাজামায় শতাব্দীর সাজ আজ অনেকটাই সাদামাটা। শুক্রবার বীরভূমের হাসনে গিয়েছিলেন ‘দিদির দূত’ শতাব্দী রায়। সেখানে তাঁর মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরি হয়। ছবিতে দেখা যায়, থালা সাজিয়ে খেতে বসার পরও তিনি না খেয়ে উঠে যান। এদিন ডেকার্স লেনে খেতে খেতে সেই বিতর্কের ব্যাখ্যাও দিলেন শতাব্দী। “আমি ওঁদের ঘরে বসে খেয়েছি। আমি যখন খাচ্ছিলাম, তখন সাংবাদিকরাও সিমেন্টের ঘরে বসে খাচ্ছিলেন। কাজেই যা দেখানো হয়েছে, আমি খাইনি বলে, তা একেবারেই ঠিক নয়। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের আরও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত বলে আমি মনে করি”, স্পষ্ট জানালেন তিনি।