এবার মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ দেশ জুড়ে দুদিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যাঙ্ক সংগঠন। ফলত এ মাসের শেষে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে চারদিন। কারণ এই মাসের ২৮ তারিখ পড়েছে চতুর্থ শনিবার। অর্থাৎ এমনিতেই সেদিন ব্যাঙ্কের ছুটির দিন। এর পরদিন ২৯শে জানুয়ারি রবিবার। মাস শেষ হওয়ার আগেই ৩০ (সোমবার) ও ৩১শে (মঙ্গলবার) জানুয়ারি ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ২৮ থেকে ৩১শে জানুয়ারি মোট চারদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় দেশ জুড়ে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা অনেকটাই বিঘ্নিত হতে পারে বলে অনুমান করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সারা ভারত ব্যাঙ্ককর্মী সংগঠনের সাধারণ সেক্রেটারি জানাচ্ছেন, বকেয়া দাবিদাওয়া পূরণের দাবি নিয়েই এই ধর্মঘট। সাধারণ সেক্রেটারি সি এইচ ভেঙ্কটচলম আইএএনএসকে জানান, বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ে ইউএফবিইউ (ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন)-এর একটি বৈঠক হয়। সেখানেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতীয় ব্যাঙ্ক সংগটনকে কর্মীদের দাবিদাওয়া নিয়ে বেশ কয়েক দফা জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও চিঠিরই আশাব্যঞ্জক উত্তর মেলেনি। তাই বেছে নেওয়া হয়েছে ধর্মঘটের পথ।
পাশাপাশি, সেক্রেটারি ভেঙ্কটচলমের কথায়, ব্যাঙ্ক সংগঠনের তরফে এই ধর্মঘট মূলত কিছু প্রাথমিক দাবিদাওয়া নিয়ে। সংগঠনের দাবি, কর্মদিবসের সংখ্যা সপ্তাহে পাঁচদিন করতে হবে। বর্তমানে প্রতি মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে পাঁচদিন করে কর্মদিবস থাকে। বাকি সপ্তাহে ছয়দিন কর্মদিবস। সেটি কমিয়ে প্রতি সপ্তাহেই পাঁচদিন কর্মদিবস করা হোক, এমনটাই দাবি থাকবে। এছাড়াও পেনশনের প্রক্রিয়াতে বদলেরও দাবি জানাবে সংগঠন। জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা বাতিল করা হোক, এমন দাবি নিয়েই ধর্মঘটের ডাক দিচ্ছে কর্মী সংগঠন। এছাড়াও আরেকটি দাবি থাকছে কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত। দেশ জুড়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে কর্মীদের বেতন নিয়ে যে নির্দেশিকা রয়েছে, তার সংশোধন করতে হবে। ব্যাঙ্কের প্রতিটি স্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতেই এই সংশোধন জরুরি বলে মনে করছে ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠন। এবার ধর্মঘটের ফলে দাবিদাওয়া কতখানি পূরণ হয়, তারই অপেক্ষায় কর্মীরা। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে ধর্মঘট ডাকার ফলে ব্যাহত হতে পারে এটিএম পরিষেবা। প্রভাব পড়তে পারে অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের পরিষেবাতেও।