বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের মুর্শিদাবাদের বাড়ি ও অফিস থেকে ১১ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। এই ঘটনাকে যেভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়েছে তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছে তৃণমূল। এ নিয়ে এবার মুখ খুললেন জাকির নিজেও। শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, ‘সব বৈধ টাকা, ফেরত পাব। আইনের লড়াই হবে। আমাদের চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা দেখছে। আমাদের খাতা ঠিক আছে। যে টাকাগুলো নিয়ে গিয়েছে তাতে কলেজের টাকা আছে, আমার স্ত্রীর টাকা আছে।’
টাকা উদ্ধারের খবর ছড়াতেই জঙ্গিপুরের বিধায়কের বাড়িতে কুবেরের ধন পাওয়া গিয়েছে বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরাও। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ জাকির বলেন, ‘তৃণমূল করি তাই আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। করদাতার বাড়িতে আসার কী দরকার ? আধিকারিকদের কোনও দোষ নেই, রাজনীতির শত্রুতার জন্যই কেউ করেছে। তাদের একটু বুদ্ধি হোক। আমাকে যারা কটাক্ষ করেছেন তারা আমার প্রোফাইল দেখুন। নমিনেশনের ফাইলটা দেখুন। তখন ৬৪-৬৫ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। সেটা তিন বছর আগে। এখন আরও বেশি আছে।’
জাকির হোসেনের দাবি তাঁর কাছে ২ কোটি টাকাও নগদ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাদার। আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠান ২৩ বছর ধরে মুর্শিদাবাদের এক নম্বর করদাতা। ওনারা (আয়কর আধিকারিকরা) লিখে দিয়ে গিয়েছেন কত টাকা পেয়েছেন। ১১ কোটি টাকা নিয়ে গিয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে। আমার কাছে কাগজ আছে, আধিকারিকরা লিখে দিয়েছেন ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা নিয়ে গিয়েছেন। এমন কিছু টাকা নয়। আমার বড় সংস্থা ‘শিব বিড়ি’ সেখানেও লিখে দিয়েছে কিছু মেলেনি। এবার ১০ কোটি টাকা কর দেব।’ তাঁর দাবি, সাত হাজার শ্রমিক কাজ করেন, এছাড়াও কলেজের টাকা রয়েছে। আবার সরষে, ধান, পাট কিনতে হয় নগদে। তাই ওই পরিমাণ টাকা কিছুই নয়।