বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের মুর্শিদাবাদের বাড়ি ও অফিস থেকে ১১ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। এই ঘটনাকে যেভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়েছে তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছে তৃণমূল। এ নিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘জাকিরকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। তাঁর হাতের আঙুল নেই। গোটা শরীরে জখমের দাগ। তারপরেও তিনি ফিরে এসেছেন, একুশের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছেন। তাই তাঁকে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে।’
জঙ্গিপুর স্টেশনেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল জাকিরের উপর। সেই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ। সেই তদন্ত রিপোর্ট কোথায় গেল সেই প্রশ্নও তুলেছেন কুণাল। তৃণমূল মুখপাত্রের কথায়, ‘জাকির হোসেন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী। তৃণমূলে আসার আগে থেকেই তিনি প্রতিষ্ঠিত। বিড়ি-সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে তাঁর।’ কুণাল বলেন, ‘তাঁর বিভিন্ন ব্যবসায় বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের মজুরি দেওয়ার জন্য যদি বৈধভাবে ক্যাশ ইন হ্যান্ড থাকে তাহলে দোষের কিছু নেই। আর যদি ধরা যায় এটা তদন্তের বিষয় তাহলে যাঁর বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে তাঁকেও তো নথি দেখানোর সুযোগ দিতে হবে। তা না করে সংবাদমাধ্যমের সামনে আনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
শুধু মুর্শিদাবাদ নয়। লাগোয়া একাধিক জেলাতেও জাকিরের ব্যবসার ব্যপ্তি। কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন, রাতারাতি যদি কয়েক হাজার মানুষের কাজ চলে যায় তার দায় কে নেবে? শুধু তাই নয়। আয়কর দফতরের ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হওয়ারও অভিযোগ তুলছে শাসকদল। সপ্তাহখানেক আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদে গিয়ে বলে এসেছিলেন, শিগগিরই এক বিড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেবে আয়কর বিভাগ। তারপরেই এই অভিযান ঘিরে প্রশ্ন উঠছে।